বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Vaishnaw angry over Reel Minister Chant: ‘রিল মিনিস্টার’ শুনেই রেগে কাঁই রেলমন্ত্রী! বললেন ‘হুট’, তারপরও শুনতে হল কটাক্ষ
পরবর্তী খবর
'রিল মিনিস্টার' কটাক্ষ শুনে মেজাজ হারালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।বৃহস্পতিবার সংসদে যখন তিনি ভাষণ দিচ্ছিলেন, সেইসময় বিরোধীদের বেঞ্চ থেকে তাঁকে ‘রিল মিনিস্টার’, 'রিল মিনিস্টার' বলে কটাক্ষ করতে হতে থাকে। আর তাতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন বৈষ্ণব। রীতিমতো রেগে গিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা রিল বানানোর লোক নই। আমরা পরিশ্রম করার লোক। আমরা কাজ করার লোক। আপনাদের মতো রিল বানিয়ে মানুষকে দেখানোর লোক নই আমরা। চুপ করে বসুন। হুট।' সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'যাঁরা এখানে চিৎকার করছেন, তাঁদের অবশ্যই এই প্রশ্নটা করা উচিত যে তাঁদের শাসনের ৫৮ বছরে কেন এক কিলোমিটার লাইনেও অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন (কবচ) বসানো হয়নি। আর আজ তাঁরা এইসব প্রশ্ন করার সাহস দেখাচ্ছেন।'
আগেও 'রিল মিনিস্টার' কটাক্ষ শুনতে হয়েছে
তবে এই প্রথমবার বৈষ্ণবকে 'রিল মিনিস্টার' বলে কটাক্ষ করলেন না বিরোধী নেতারা। সম্প্রতি পরপর যে রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে, তারপর থেকেই বৈষ্ণবকে 'রিল মিনিস্টার' কটাক্ষ করা শুরু হয়েছে। আর সংসদে তিনি 'রিল মিনিস্টার' শুনে যে রেগে গিয়েছেন, তা নিয়েও বিরোধী নেতারা কটাক্ষ করেছেন।
রেলমন্ত্রী রেগে যাওয়ায় পালটা কটাক্ষ
শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে শিবির) সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেন, ‘এই বিষয় নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে উনি রেলমন্ত্রী নন, উনি রিলমন্ত্রী। উনি প্রচারমন্ত্রী। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে গিয়ে তিনি যে নিজের রিল বানান, সেটা মানুষ দেখেছেন। যাতায়াতের ক্ষেত্রে যে সমস্যা হয়, সংরক্ষিত আসনে যে সংরক্ষিত টিকিট ছাড়া যাত্রীরা বসে যান, তাঁরা যে পরিস্থিতিতে বসে যান, সেটা বারবার তাঁর নজরে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তাতে পাত্তা দেননি।’
প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, ‘রিলমন্ত্রী রেগে গিয়েছিলেন, কারণ তাঁর কাছে কোনও জবাব ছিল না। বাজেট বাড়লেও কবচ বসানোর যে পরিকল্পনা ছিল, সেটা কেন এখনও বাস্তবায়িত হয়নি, সেটার কোনও জবাব নেই রিলমন্ত্রীর কছে। ট্রেনের ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’ সেইসঙ্গে তিনি আরও দাবি করেন, প্রবীণ নাগরিকদের ছাড় তুলে দিয়েছেন। ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটলে কোনও দায়টুকু নেন না।
একাধিক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে বৈষ্ণবের আমলে
১) গত বছর জুনে ওড়িশার বালাসোরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় ৩০০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার এক বছরের মাথায় উত্তরবঙ্গে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়।
২) মঙ্গলবার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে ১২৮১০ হাওড়া-ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস এক্সপ্রেস। কমপক্ষে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া আরও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।