মেঘালয়কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি! লুধিয়ানায় বিয়ের ৪ মাসের মধ্যেই স্ত্রীকে খুন, উধাও স্বামী

এবার মেঘালয়কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি পাঞ্জাবের লুধিয়ানায়। তবে এবার গল্পটা একেবারে উল্টো।বিয়ের মাত্র চার মাসের মধ্যে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।কারণ স্ত্রীর আগের বিয়ের কথা জানতে পেরে গিয়েছিল অভিযুক্ত স্বামী। আর তার জেরেই স্ত্রীকে খুন করে ভাড়াবাড়িতে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক।তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। (আরও পড়ুন: চেনাব-ঝিলামে 'উন্নয়নের জোয়ার', ভারতের ছকে চোখ-গলা সব শুকিয়ে যাবে পাকিস্তানের)আরও পড়ুন: এবার চিনের নেটওয়ার্ক ভাঙতে ভারতের শরণাপন্ন আমেরিকা, সামনে এল বড় তথ্যঘটনাটি ঘটেছে মহল্লা ফতেহগঞ্জে। মৃতের নাম রাধিকা। মাত্র ৪ মাস আগেই রাধিকার সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় সুনীলের।জানা গেছে, চার দিন আগে টিব্বা রোড থেকে ওই দম্পতি মহল্লা ফতেহগঞ্জের ভাড়াবাড়িতে উঠে আসেন।পুলিশের ধারণা, রবিবার রাধিকাকে শ্বাসরোধ করে সুনীল এবং তারপর দেহ কাপড়ের স্তূপের নিচে লুকিয়ে রাখে। কিন্তু কিছুদিন পর প্রতিবেশীরা সুনীলদের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান।এরপরেই তারা বাড়িওয়ালা গুরবিন্দর কৌর এবং রাধিকার ভাই কৃষ্ণকে খবর দেন। তারাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ।পুলিশ এসে ওই বাড়ি থেকে রাধিকার মৃতদেহ উদ্ধার করে।আরও পড়ুন-হানিমুন হত্যাকাণ্ডের পুননির্মাণ! সোনমকে নিয়ে আসা হল মেঘালয়েশ্রীনগর-কাটরা বন্দে ভারতে চড়ে বৈষ্ণোদেবী যাত্রা ফারুক আবদুল্লাহর, বললেন, 'মাতা নে বুলায়া হ্যায়'লুধিয়ানার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব পুলিশ অনিল ভানট জানান, ইতিমধ্যে সুনীলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, মৃতদেহে শ্বাসরোধ করে খুনের চিহ্ন রয়েছে এবং নিহতের হাত কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ একাধিক দল গঠন করেছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।অন্যদিকে রাধিকার বোন আশা জানান, সুনীলের পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও চার মাস আগে রাধিকারা একটি মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন। পরে সুনীলের পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেয়। এবার রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করার পরিকল্পনা ছিল সুনীল এবং রাধিকার।তদন্তে জানা গেছে, রাধিকা সুনীলের সঙ্গে থাকার আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন, কিন্তু তাকে কিছু বলেননি। খুনের দুই দিন আগে, সুনীল রাধিকার অতীতের কথা জানতে পারে। তারপর থেজেই তাদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। পুলিশের সন্দেহ, এটিই খুনের অন্যতম কারণ।তবে রাধিকার পরিবার দাবি করেছে যে, তারা দুজন যে বিবাহিত ছিল, তার কোনও আইনি প্রমাণ নেই।