অত্যন্ত উদ্বেগের ঘটনা। বাজাজ ফিনান্সের এরিয়া ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত ছিলেন এক ব্যক্তি। উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির বাসিন্দা ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। মৃতের নাম তরুণ সাক্সেনা। এনডিটিভির খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, তরুণ সাক্সেনা তাঁর সুইসাইড নোটে লিখেছেন টার্গেটে পৌঁছনর জন্য় সিনিয়ররা ভয়াবহ চাপ দিতেন। টার্গেট পূরণ করার জন্য গত দুমাস ধরে তাঁর উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছিল। এমনকী টার্গেটে পৌঁছতে না পারলে বেতন কেটে নেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হত। সেই আতঙ্কে দিন কাটত তাঁর। তবে বাজাজ ফিনান্সের পক্ষ থেকে এনিয়ে কোনও জবাব দেওয়া হয়নি।
সূত্রের খবর, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে একটি ঘরে আটকে দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এরপর সকালবেলা বাড়ির পরিচারিকা তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। তাঁর বাবা মা, স্ত্রী, দুই সন্তানকে রেখে গেলেন তিনি।
তবে কি তরুণের উপর মারাত্মক চাপ দেওয়া হত? যার জেরে তিনি এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলেন? নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পাঁচ পাতার একটি নোট লিখে গিয়েছেন তিনি। সেটা তিনি তাঁর স্ত্রীকে লিখেছেন। তিনি লিখেছেন প্রচুর চেষ্টা করেও টার্গেট পৌঁছতে পারছিলাম না। এনিয়ে মারাত্মক মানসিক অবসাদে ছিলেন তিনি।
তরুণের কাজ ছিল বাজাজ ফিনান্সের ইএমআই সংগ্রহ করা। কিন্তু নানা কারণে তিনি সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলেন। টার্গেট পূরণ করতে পারছিলেন না। সবসময় চাকরি হারানোর ভয় করতেন। তিনি লিখেছেন সিনিয়ররা তাকে সবসময় চাপ দিত। ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলেন তিনি। আমি আর কিছু ভাবতে পারছি না। আমি আসছি। লিখেছিলেন তরুণ।
তরুণ লিখেছেন যারা ইএমআই দিতে পারত না তাদের হয়ে ইএমআই দিতে হত তরুণ ও তার সহকর্মীদের।
তিনি এনিয়ে বার বার বলেছেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না।
সিনিয়রদের তিনি বার বার এনিয়ে বলেছিলেন। কিন্তু তারা শুনতে চাননি। তিনি লিখছেন দিনের পর দিন ঘুমোতে পারতাম না। প্রায় ৪৫ দিন ঘুমোইনি। খেতেও পারতাম না। বিরাট চাপে ছিলাম। সিনিয়র ম্যানেজাররা রাত দিন প্রেসার দিত। যে কোনও ভাবে টার্গেট পূরণ করার কথা বলত। না হলে চাকরি ছাড়তে হত। এটা নিয়ে খুব টেনশনে ছিলাম। তিনি লিখেছেন বছরের শেষ পর্যন্ত বাচ্চাদের স্কুলের ফি মিটিয়ে দিয়েছি। দোতলাটা করে নিও। ভালো থেকো তোমরা। ….তারপর সব শেষ….