সাংসারিক অশান্তি থেকে মর্মান্তিক ঘটনা হরিয়ানার ফরিদাবাদে।ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হলেন ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি এবং তার চার সন্তান।তিন থেকে নয় বছর বয়সি দুই শিশু চিৎকার করে উঠলেও বাবা শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন তাদের হাত। ফলে এক্সপ্রেস ট্রেন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পিষে যান সকলেই। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। (আরও পড়ুন: সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা বেজিংয়ের, ভারতে আসছে চিনের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী)
আরও পড়ুন: বিতর্কে জর্জরিত ইউনুসের লন্ডন সফর, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার কোনও দাম নেই সেখা
পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের বাসিন্দা মনোজ মাহাতো স্ত্রী প্রিয়ার সঙ্গে বাগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান বলে অভিযোগ। মাহাতো স্ত্রীকে বিশ্বাস করতেন না। তাঁর স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে প্রায়ই অশান্তি হত দম্পতির মধ্যে। মঙ্গলবার সকালেও তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপরেই মনোজ চার ছেলে পবন (১০), কারু (৯), মুরলি (৫) এবং ছোটু (৩)-কে নিয়ে বাড়ি বেরিয়ে যান। বলে যান শিশুদের নিয়ে পার্কে যাচ্ছেন। কিন্তু পার্কে যাওয়ার পরিবর্তে তিনি শিশুদের নিয়ে রেল লাইনে যান। যাওয়ার পথে চিপস, ঠান্ডা পানীয় কিনে দেন। (আরও পড়ুন: চেনাব-ঝিলামে 'উন্নয়নের জোয়ার', ভারতের ছকে চোখ-গলা সব শুকিয়ে যাবে পাকিস্তানের)
আরও পড়ুন-মেঘালয়কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি! লুধিয়ানায় বিয়ের ৪ মাসের মধ্যেই স্ত্রীকে খুন, উধাও স্বামী
তারা পাঁচজন রেললাইনের কাছে একটি ফ্লাইওভারের নীচে প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করেন। ট্রেন আসার সময় হলে মনোজ মাহাতো চার ছেলেকে নিয়ে রেললাইনের উপর দাঁড়ান। মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটার আতঙ্কে প্রত্যক্ষদর্শীরা শিশুদের চিৎকার করতে দেখেন। শিশুরা বাবার হাত ছাড়িয়ে চলে যেতে চাইছিল, কিন্তু বাবা তাদের যেতে দেননি। এদিকে, ছুটে আসছিল স্বর্ণমন্দির এক্সপ্রেস। এক সময় পাঁচজনই ট্রেনের চাকায় পিষে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সকলের।পুলিশ জানিয়েছে যে ঘটনাটি দুপুর ১২.৫৫ নাগাদ ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মনোজ মাহাতো নামে মধ্য বয়সি ওই ব্যক্তিকে রেললাইন ধরে হেঁটে যেতে দেখেছিলেন। তাঁর দুই কাঁধে ছিল দুটি শিশু, অন্য দু'জনের হাত ধরা ছিল। লোকো পাইলট বারবার হর্ন দিয়ে সতর্ক করলেও মনোজ রেলের ট্র্যাক থেকে সরে দাঁড়ায়নি। (আরও পড়ুন: নাম শুনেই গরম তেলে ফোড়নের মতে লাফিয়ে উঠেছিলেন পাক সাংসদ, কী এই 'ব্রিগেড ৩১৩'?)
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে সীমান্তে সংঘাতের ছক ইউনুস সরকারের, বাংলাদেশি সেনা প্রধান কী করলেন?
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশের একটি দল এসে মৃতদেহগুলি ট্র্যাক থেকে সরিয়ে দেয়। তাঁর পকেটে স্ত্রীর ফোন নম্বর-সহ একটি চিরকুট ছিল। পুলিশের অনুমান, স্ত্রীর অবিশ্বাসের জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মনোজ। সম্ভবত সেই কারণেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেন তিনি। দেহগুলি শনাক্ত করতে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় মনোজের স্ত্রী প্রিয়াকে। প্রিয়া যখন স্বামী ও সন্তানদের মৃতদেহ দেখেন তখন তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।