নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের কেন্দ্রস্থলে এক বন্দুকবাজের গুলিতে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের একজন অফিসার রয়েছেন। হামলাকারী, যাকে শেন তামুরা (২৭) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা।
হামলাকারীর পরিচয়
নিহত বন্দুকবাজের নাম শনাক্ত হয়েছে, শেন তামুরা, বয়স ২৭, নেভাডার বাসিন্দা। শেন তামুরা একজন প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড়। সে গ্রানাডা হিলসের হয়ে ফুটবল খেলতো।এফবিআই এবং এনওয়াইপিডির যৌথ তদন্তে জানা গিয়েছে, সে একাই হামলা চালায়। তার সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের সরাসরি যোগাযোগের প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি, তবে মানসিক স্বাস্থ্যের ইতিহাস ও সম্ভাব্য উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।পুলিশ জানিয়েছে, সে একাই হামলা চালায় এবং পরে নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করে।
ঘটনাটি ঘটেছে ৩৪৫ পার্ক অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত একটি ৬৩৪ ফুট উঁচু বহুতলে, যা গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল স্টেশন, রকফেলার সেন্টার এবং মডার্ন আর্ট মিউজিয়ামের কাছাকাছি অবস্থিত। ভবনটি একটি সিটি ব্লক দখল করে আছে এবং এর নিজস্ব জিপ কোড রয়েছে। ওই এলাকায় বহু বিলাসবহুল হোটেল ও কলগেট-পামোলিভ ও কেপিএমজি-র মতো সংস্থার সদর দফতর রয়েছে।হামলা চালানোর জন্য আততায়ী এই জায়গাকেই বেছে নেয়। সন্ধ্যার পর অফিস ছুটির সময় নিরাপত্তারক্ষীরাও যখন বাড়ি ফেরার জন্য প্রস্তুত, সেই ফাঁক গলে অফিস চত্বরে গিয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করে সে। তাতে এক পুলিশ অফিসার ও তিনজন নিহত হন। হামলার বিস্তারিত জানিয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের কমিশনার জেসিকা টিচ। তিনি জানান, একজন বন্দুকবাজই হামলা চালিয়েছে। তার হাতে ছিল লম্বা একটি রাইফেল। পালটা গুলিতে তাকেও খতম করা হয়েছে।
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘একজন অফিসারকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে।’ নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, পার্ক অ্যাভিনিউ ও ইস্ট ৫১ তম স্ট্রিটের আশপাশের এলাকা এখন নিরাপদ এবং বন্দুকধারী নিহত হয়েছে। পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ এক্স-এ লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে এলাকা সম্পূর্ণ ভাবে নিয়ন্ত্রণে এবং বন্দুকধারী নিরস্ত্র করা হয়েছে।’ অন্যদিকে, ঘটনার পরে এলাকা জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ড্রোন ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ চালানো হচ্ছে। পুলিশ কর্মীদের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও ভারী অস্ত্র-সহ মোতায়েন করা হয়েছে। এফবিআই, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও এনওয়াইপিডি যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। হামলার পরিকল্পনা, আগাম কোন বার্তা বা অনলাইন সক্রিয়তা ছিল কিনা, সেই সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তবে এই হামলার পেছনে কী উদ্দেশ্য ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।