প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সুরেশ রায়না ও শিখর ধাওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নজরে আরও এক প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিন উথাপ্পাকে ইডি সমন জারি করেছে। ডানহাতি ব্যাটার উথাপ্পাকে ২২ সেপ্টেম্বর ইডির সদর দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ) এর অধীনে তাঁর বিবৃতি রেকর্ড করা হবে বলে সমনে বলা হয়েছে। এদিকে রবিন উথাপ্পা এশিয়া কাপের কমেন্ট্রি প্যানেলে আছেন বলে জানা গিয়েছিল রিপোর্ট থেকে। ইডি বেশ কয়েকজন সেলিব্রিটিকে জেরা করেছে ইতিমধ্যেই। বেটিং অ্যাপের সাথে তাঁদের লিঙ্ক, অর্জিত কোনও এনডোর্সমেন্ট ফি এবং তাঁদের সঙ্গে অ্যাপগুলি কীভাবে যোগাযোগ করেছিল, সেই পদ্ধতি বোঝার জন্য জেরা করছে ইডি। এদিকে রবিন উথাপ্পা ছাড়াও ক্রিকেটার যুবরাজ সিং, অভিনেতা সোনু সুদকে তলব করেছে ইডি।
এর আগে, রায়না এবং ধাওয়ানকে যথাক্রমে ১৩ অগস্ট এবং ৪ সেপ্টেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল আর্থিক অপরাধ সংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং বাংলার অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি গোয়েন্দারা। বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলাও মঙ্গলবার সিবিআইয়ের সামনে হাজির হওয়ার কথা ছিল, তবে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করতে আসেননি।
গত জুলাইয়ে গুগল ও মেটার প্রতিনিধিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় সংস্থাটি। আর্থিক অপরাধ তদন্তকারী সংস্থা একাধিক অবৈধ অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মের তদন্ত করছে এবং তাদের কাছ থেকে বিজ্ঞাপনের আকারে পাওয়ার অর্থের সূত্র খুঁজছে। এর জন্য প্রযুক্তি সংস্থা, মিডিয়া হাউসের প্রতিনিধিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এর আগে ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তাতে সংবাদপত্র, নিউজ চ্যানেল, বিনোদন চ্যানেল, অনলাইন সংবাদ পোর্টাল, গুগল এবং ফেসবুক সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মের বিজ্ঞাপন না দেওয়ার জন্য চারটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রের কাছ থেকে এই নির্দেশিকা সত্ত্বেও অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মের বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন বিনোদন এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
গত কয়েক মাস ধরে ইডির সংগৃহীত তথ্য অনুসারে, বছরের পর বছর ধরে নিষিদ্ধ একাধিক বেটিং প্ল্যাটফর্ম এখনও নাম পরিবর্তন করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে এবং সেলিব্রিটি ও সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সাররা এর প্রচার চালাচ্ছেন। এই প্ল্যাটফর্মগুলি কর ফাঁকি, অর্থ পাচার এবং বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইন (এফইএমএ) সহ ভারত সরকারের একাধিক আইন এবং নির্দেশনা লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ। অনুমান করা হচ্ছে যে প্রায় ২২০ মিলিয়ন ভারতীয় ব্যবহারকারী বর্তমানে বিভিন্ন বেটিং অ্যাপগুলিতে জড়িত এবং এর মধ্যে ১১০ মিলিয়ন নিয়মিত ব্যবহারকারী।