রাজস্থানে ট্যাঙ্কার থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৯ জন। বৃহস্পতিবার সওয়াই মান সিং (এসএমএস) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও এক দগ্ধ ব্যক্তি। তাতে মৃত্যু বেড়ে ১৯ জন হয়েছে। এসএমএস হাসপাতালের সুপার ডাঃ সুশীল ভাটি এদিন অগ্নিদ্বগ্ধে আরও একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃতের নাম লালরাম (২৮)। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ট্যাঙ্কারে, ৪০টি গাড়িতে আগুন, নিহত ৫, আহত ৪১
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ১১ জনেরও বেশি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এরমধ্যে দু থেকে তিন জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের আজ বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে লালরামের শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি ভেন্টিলেটরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত এদিন তিনি মৃত্যুর কাছে হার মানেন। এছাড়াও, আরও তিনজন অগ্নিদগ্ধ ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন বলে তিনি জানান।
জানা গিয়েছে, লালারাম সাঙ্গানেরের বাসিন্দা। তাঁর এক বন্ধু রামাবতার জানান, তিনি মাহিন্দ্রা এসইজেডের একটি আইটি কোম্পানির নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন তাঁর সকলের দিকে ডিউটি ছিল। নিজের বাইকে চড়ে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় আগ্রা হাইওয়ের এলাকায় আসতেই ভয়ঙ্কর সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় তিনি বাইকে ছিলেন। বিস্ফোরণ ঘটতেই তিনিও বাকিদের সঙ্গে আগুনের গ্রাসে চলে আসেন। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল বুধবার।
উল্লেখ্য, জয়পুরে ভয়ঙ্কর এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল গত ২০ ডিসেম্বর। ট্রাকের সঙ্গে এলপিজি ভর্তি ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় প্রথমে বিস্ফোরণ ও পরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তারফলে আগুন ধরে যায় পাশে থাকা পেট্রোল পাম্পে। আশেপাশের কমপক্ষে ৪০টি গাড়িতে আগুন লেগে যায়। তাতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন নিহত হয়েছিলেন। এছাড়াও, আহত হয়েছিলেন ৪১ জন। ঘটনার পরেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তিনি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করার পাশপাশি সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ওইদিন আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়। পরে আরও চারজন ও বুধবার তিন জনের মৃত্যু হয়। আর আজ আরও একজন মারা গেলেন। মৃতদের মধ্যে সিংহভাগই হলেন ট্রাক চালক ও বাস যাত্রী।