সম্প্রতি বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে। প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে হাসিনা পরিবার বলে অভিযোগ। আর এই শেখ হাসিনার লোভ এবং দেশবাসীর উপর নির্যাতনের জেরে তার দল আওয়ামি লিগকে বিপদে পড়তে হয়েছে বলে চাঁদপুর সাহিত্য অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এই মন্তব্য করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লা কায়সার। আর এই মন্তব্যের জেরে শেখ হাসিনা বিরোধী হাওয়া আরও বাড়তে শুরু করেছে পদ্মাপারে।
কোটা সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন তৈরিই হয়েছিল শেখ হাসিনাকে গদি থেকে সরাতে বলে মনে করেন আওয়ামি লিগের অনেক নেতারাই। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। তাই শহিদুল্লা কায়সার বলেন, ‘শেখ হাসিনা তাঁর দলের ভাল পরামর্শ দেওয়া নেতাদের পছন্দ করতেন না। যাঁরা তাঁকে ভাল পরামর্শ দিতেন এবং মানুষের পক্ষে থাকার কথা বলতেন, তাঁদেরকে দলের ভিতরে কোণঠাসা করে দিতেন তিনি। আর তাই আওয়ামি লিগ থেকে অনেক জনপ্রিয় নেতা বেরিয়ে গিয়েছেন। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের বিজয়ে নাগরিক ঐক্য ভূমিকা রেখেছে। প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিলেন।’
আরও পড়ুন: ‘মাদ্রাসায় জঙ্গিদের মহড়া হচ্ছে’, বাংলাদেশের তপ্ত অবস্থা নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস তসলিমার
এখন বাংলাদেশে অন্তবর্তী সরকার হলেও অশান্তি মেটেনি। হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ। ভারত বিরোধী বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন বাংলাদেশের নেতারা। যেহেতু ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। ছাত্র–জনতার ঐক্যবদ্ধ হিংসা আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই বিষয়ে শহিদুল্লা কায়সারের বক্তব্য, ‘আওয়ামি লিগ সরকার শুধু আয়না ঘরের মাধ্যমে বিএনপি–সহ ফ্যাসিবাদ–বিরোধী রাজনৈতিক দলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে নির্যাতন এবং খুন করেছে। নাগরিক ঐক্য–সহ অনেক রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারী মনোভাব থেকে ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছিল।’
এই নাগরিক ঐক্য মঞ্চের নেতারা মনে করেন, সেই সদুপদেশ শেখ হাসিনা একেবারেই গ্রহণ করেননি। তাই শহিদুল্লা কায়সারের কথায়, ‘শেখ হাসিনার এই অশুভ রাজনীতির কারণে তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি বা ভাস্কর্যের উপর মানুষ হাত দিয়েছে। এটা থেকে শিক্ষা নিয়ে সব রাজনৈতিক দল আগামী দিনে রাজনীতি করবে। যারাই দেশ পরিচালনায় আসবে তারা শেখ হাসিনার এই পরিণতি মাথায় রেখে দেশ এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন।’ এই সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন কাননকে আহ্বায়ক ও বিএম নুরুজ্জামানকে সদস্যসচিব করে নাগরিক ঐক্য চাঁদপুর জেলার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।