শেখ হাসিনার আমল-পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমেই মজবুত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে একাধিক বিষয়ে আলোচনাও চলেছে। সদ্য ঢাকার সচিবালয়ে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন রাজা নকভি ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর একটি বৈঠক হয়। আর সেই বৈঠকে উঠে আসে সন্ত্রাসবাদ ইস্যু।
পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ওই হাইভোল্টেজ বৈঠক শেষে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) ফয়সল হাসান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে মাদক ও সন্ত্রাস দমন বিষয়ে কথা হয়েছে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এছাড়াও ওই দ্বিপাক্ষিক স্তরের আলোচনায় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়েছে, পুলিশ প্রশিক্ষণে দুই দেশের পুলিশ একাডেমির পারস্পরিক সহযোগিতা, কূটনৈতিক ও অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা, রোহিঙ্গা ইস্যু, সাইবার ক্রাইম দমন, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে। এদিকে, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘দুই দেশের কূটনৈতিক ও অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক চুক্তিটি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পাকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসের ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়া চলমান।’ এরই সঙ্গে তিনি বলেন,' সেখানে আপাতত এমআরপি পাসপোর্ট প্রদান কার্যক্রম চালু রয়েছে। দূতাবাসের ভবন নির্মাণ সমাপ্ত হলে সেখানে ই-পাসপোর্ট প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হবে।'
( Weight Loss Tips: জিমে না গিয়েও বনি কাপুর কমিয়েছেন ২৬ কেজি! ওজন কমানের ‘ম্যাজিক ডায়েট’টি কী?)
বৈঠক সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন,' সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তান সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা সন্ত্রাস দমনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি।’ এই সন্ত্রাস দমন ইস্যুতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাঁর দেশের অবস্থান তুলে ধরে বলেন,' সেখানে আমরা ব্যর্থ হলে তা পাকিস্তানসহ সবার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। সে জন্য আমরা সবার সহযোগিতা চাই। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারে।'
অন্যদিকে, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাকভি বলেন,'পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রধান সমস্যা হচ্ছে মাদক, যা পার্শ্ববর্তী দেশ আফগানিস্তান থেকে পাচারের মাধ্যমে' সেদেশে আসে বলে জানান তিনি। বাংলাদেশের তরফে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাদেশেও সেই সমস্যা রয়েছে, যা পার্শ্ববর্তী মায়ানমার থেকে আসে। পুলিশ প্রশিক্ষণে দুই দেশ পরস্পরকে সহযোগিতা করতে পারে উল্লেখ করে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে দুই দেশের পুলিশ একাডেমির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।’