সদ্য সাংসদপদ খুইয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এরপর তাঁকে সাংসদের বাংলো ছেড়ে দেওয়ারও নোটিস দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানালেন অযোধ্যার পুরোহিত। অযোধ্যার হনুমানগাড়হি মন্দিরের মহান্ত রাহুল গান্ধীকে হনুমানগাড়হি মন্দিরে এসে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
সদ্য রাহুল গান্ধীকে এই বাংলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়। কারণ, লোকসভার সাংসদ পদ তাঁর খারিজ হয়েছে। উল্লেখ্য, মোদী পদবী নিয়ে ২০১৯ সালে কর্ণাটকের কোলারে একটি সভা করার সময় রাহুল গান্ধীর একটি মন্তব্য সামনে আসে। সেই মন্তব্য ঘিরে দেশের বিভিন্ন কোর্টে দায়ের হয়েছে মানহানির মামলা। সদ্য সুরাট কোর্ট রাহুলকে সেই মামলায় ২ বছরের কারাবাসের সাজা দিয়েছে। সঙ্গে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। যেহেতু জনপ্রতিনিধি রাহুল গান্ধী ২ বছরের সাজা পেয়েছেন তাই, তাঁর সাংসদপদ খারিজ হয়। তবে আপাতত জামিনে রয়েছেন রাহুল। সদ্য সুরাট কোর্ট রাহুলের জামিনের মেয়াদ বর্ধিত করেছে। এরপর পরবর্তী শুনানি ১৩ এপ্রিল।
(এই যাঃ! রান্নায় হলুদ বেশি পড়ে গিয়েছে? কড়াইতে শুধু এইটি দিলেই হবে মুশকিল আসান )
এদিকে, অযোধ্যার মহান্তের রাহুলের জন্য এই ‘প্রস্তাবকে ’ কংগ্রেসের প্রতি সমর্থন হিসাবে দেখছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে গেরুয়া শিবিরের পোক্ত ভূম অযোধ্যা থেকে মহান্তের এই আমন্ত্রণ রাজনৈতিক আঙিনায় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। পুরোহিত সঞ্জয় দাস বলেন, 'আমরা অযোধ্যার পুরোহিতরা এই পবিত্র শহরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমাদের জায়গায় তাঁকে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।' সঞ্জয় দাস হলেন জাতীয় সংকটমোচন সেনার প্রধান। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সঞ্জয় দাস বলেন হনুমানগাড়হি ক্যাম্পাসে যদি রাহুল গান্ধী আসতে চান, বা থাকতে চান, তাহলে তিনি সাদরে আমন্ত্রিত। সঞ্জয় দাস বলছেন, ‘রাহুল গান্ধীর আসা উচিত অযোধ্যায়, হনুমানগাড়হি মন্দিরে প্রার্থনা করা উচিত। হনুমানগাড়হি মন্দিরের ক্যাম্পাসে বহু আশ্রম রয়েছে। তাঁর আসা উচিত ও আমাদের আশ্রমে থাকা উচিত। তিনি খুশি হবেন।’