জম্মু ও কাশ্মীরের রামবানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি ৭০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে তিন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল ১১:৩০ নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। সেনার গাড়িটি জম্মু থেকে শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিল। এই দুর্ঘটনা পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে সেনাবাহিনীর জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: জারি 'নাটক', চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের শুনানির কী হল?)
আরও পড়ুন-শিখ-বিরোধী দাঙ্গা প্রশ্নে অস্বস্তিতে রাহুল, ৪ দশক পর প্রকাশ্যে দায় স্বীকার
জানা গেছে, নিহত সেনাদের নাম অমিত কুমার, সুজিত কুমার এবং মান বাহাদুর।পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সেনার একটি কনভয় ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে জম্মু থেকে শ্রীনগরে উদ্দেসে যাচ্ছিল। সেই সময় কনভয়ে থাকা একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে গিয়ে আছড়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন জওয়ানের।কর্মকর্তাদের মতে, চালক সম্ভবত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, ফলে গাড়িটি সড়ক থেকে ছিটকে পড়ে খাদে গড়িয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়ে যায় এবং জওয়ানদের দেহ, তাদের জিনিসপত্র এবং কিছু কাগজপত্র দুর্ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে গাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে জওয়ানদের দেহ উদ্ধার করা একটি কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মতো হাল যাতে না হয়, কলকাতার কারখানার বড় পদক্ষেপ)
আরও পড়ুন: ভারত নিয়ে ‘অবস্থান বদল’ মলদ্বীপের মুইজ্জুর,চিনের বেস্টফ্রেন্ড এখন ভারতের ঘনিষ্ঠ?
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় সেনাবাহিনী, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। উদ্ধারকারী দলগুলি খাদের গভীরে নেমে জওয়ানদের দেহ উদ্ধার করে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই এলাকার রাস্তা খাড়া এবং বিপজ্জনক, যার জেরে প্রায়ই দুর্ঘটনা হয়ে থাকে। তবে দুর্ঘটনার আগে কী সমস্যা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে সেনা সূত্রে খবর।
পহেলগাঁও-কাণ্ডের পর কোনও অভ্যর্থনা গ্রহণ করবেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কেন এমন সিদ্ধান্ত?
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রামবানে তাণ্ডব চালিয়েছে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধস।যার জেরে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও অনেকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে ফুঁসছে গোটা দেশ। গত ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসীরা পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর হামলা চালায়, যাতে ২৬ জন নিহত হন। এই হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে।ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার অভিযোগ তুলেছে, যা ইসলামাবাদ অস্বীকার করেছে।এদিকে, পহেলগাঁও হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সশস্ত্র বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। পাশাপাশি নয়াদিল্লি কূটনৈতিক স্ট্রাইক ঘোষণা করেছে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে। এই আবহে রামবানের দুর্ঘটনা সেনাবাহিনীর জন্য বড় ক্ষতি।