তালিবান শাসনে ফের অমানবিক ঘটনার শিকার একটি শিশুকন্যা। মাত্র ছয় বছর বয়সে তার পরিবার তাকে তুলে দেয় ৪৫ বছর বয়সি এক পুরুষের হাতে। মার্কিন মুলুকে অবস্থিত এক আফগান সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি এই খবর প্রকাশ্যে এনেছে। দাবি, মেয়েটির পরিবার আর্থিক অনটনে ভুগছিল। তাই কিছু অর্থের বদলে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হয় তারা। যদিও যার সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে তার বয়স বর্তমানে ৪৫ বছর। ইতিমধ্যে তাঁর দুবার বিয়ে হয়ে গিয়েছে।
কী ভূমিকা তালিবান প্রশাসনের?
ঘটনাটি জানাজানির পর তালিবান প্রশাসন বিয়েতে হস্তক্ষেপ করে। কিন্তু বিয়ে থামানোর কোনও চেষ্টা করা হয়নি। বরং মেয়েটিকে বিয়ে করার পরই বাড়ি নিয়ে যেতে বারণ করা হয়েছে। বলা হয়েছে নয় বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বাপের বাড়িতেই রাখতে হবে। অর্থাৎ তারপর তাঁকে তার বর নিয়ে যেতে পারবে।
আরও পড়ুন - ‘চুপ করে থাকব না’, দিল্লিতে বাঙালি হেনস্থার ঘটনায় গর্জন দিদির
নিন্দায় সরব একাধিক দেশ
মার্কিন মুলুকের আফগান সংবাদমাধ্যম খবরটি প্রকাশ্যে আনার পর থেকেই তীব্র নিন্দা শুরু হয় ঘটনাটির। আন্তর্জাতিক স্তরে তালিবান প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করেছে একাধিক দেশ। নিন্দায় সরব হয়েছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক নারী ও শিশু অধিকার রক্ষাকারী সংগঠনও। গত ২৮ জুন ঘটনাটি ঘটে। তবে এখনও পর্যন্ত তালিবান প্রশাসন আর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও পড়ুন - এইসব সালে জন্ম? হতে পারে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার! আগাম সতর্ক করলেন গবেষকরা
নারী ও শিশুর অধিকার ক্ষুন্ন
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক চরম নারী ও শিশুবিদ্বেষী পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে। যার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিশ্বের বেশ কিছু দেশ। তালিবানশাসিত আফগানিস্তান এখনও বহু দেশের থেকে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। বেশ কিছু দেশ জানিয়েছে নারী ও শিশুদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত না করলে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানকে দেশের স্বীকৃতি দেবে না। কিন্তু এতে পরিস্থিতির বিশেষ বদল হয়নি। বরং আরও খারাপ হয়েছে, তা স্পষ্ট সাম্প্রতিক ঘটনা থেকে।