গত ৭ মে দক্ষিণ ভারতের কোঝিকোড, মালাপ্পুরম, ত্রিশুর জেলা থেকে নাইল জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ৬ জন। শুধু তাই নয়, ত্রিশুরে ৭৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। এরপরেই কেরল সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্কতা জারি করেছে জ্বর নিয়ে।নাইল জ্বর কী?এই জ্বর হল এমন একটি ভাইরাল সংক্রমণ যা মশা দ্বারা সংক্রমিত হয়। এই ভাইরাসটি আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ায় ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। এবার ভারতের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে ঝড়ের গতিতে ছড়াতে শুরু করেছে এই রোগ।কেন বলা হয় নাইল ফিভার?১৯৩৭ সালে উগান্ডার পশ্চিম নাইল জেলায় এক মহিলার মধ্যে প্রথম এই জ্বরের উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়। ওই মহিলার নাম অনুসারে এই জ্বরের নাম রাখা হয় নাইল ফিভার।উপসর্গসাধারণত সংক্রমিত মশা কামড়ানোর ২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন আক্রান্ত ব্যক্তি। আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীর মধ্যে জ্বর, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, বমি ভাব, ডায়রিয়া, ফুসকুড়ি, শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফুলে যাওয়ার মত উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়।চিকিৎসাপ্রাথমিকভাবে এই জ্বরের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। আক্রান্ত ব্যক্তিকে একটি ঘরে সাময়িকভাবে বিশ্রাম করতে দিতে হবে। ডেঙ্গু অথবা ম্যালেরিয়া হলে যে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়, এক্ষেত্রেও ঠিক সেই ভাবেই রোগীকে রাখতে হবে বাড়িতে। দেখতে হবে, কোথাও যেন জল না জমে থাকে।কাদের ঝুঁকি বেশিসাধারণত গ্রীষ্মকালে এই জ্বরের সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে বড় কোনও সমস্যা হয় না। তবে শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। সংক্রমণ হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে না হলে অবস্থা গুরুতর হয়ে যাবে। কী সতর্কতা জারি করা হয়েছেকেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ বলেছেন, এখনো পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। মশার বংশবৃদ্ধি যাতে কোনও ভাবে না হতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জেলা শাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেকটি জেলা এবং শহর গুলিকে নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। এই জ্বরে আক্রান্ত হলে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। জ্বরের উপসর্গ দেখলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে সরকারের তরফ থেকে।ss
