New way electricity: এক ‘হাক’ দিতে হবে শুধু। তাতেই তৈরি হবে বিদ্যুৎ শক্তি। বিজ্ঞানীদের নয়া আবিষ্কার কীভাবে কাজ করবে জেনে নিন।
এক ‘হাক’ দিলেই তৈরি হবে বিদ্যুৎ!
আর কোনও যন্ত্রের সাহায্য লাগবে না। হাওয়াকল দিয়ে তৈরি করতে হবে না বিদ্যুৎশক্তি। কখন হাওয়া দেয় না দেয়, তার অপেক্ষাও করতে হবে না আর। অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানীদের নয়া গবেষণায় এল যুগান্তকারী সাফল্য। এবারে একটি তরল দিয়েই তৈরি করা যাবে বিদ্যুৎশক্তি। কোনও রকম বড় সড় ব্যবস্থা ছাড়াই, ওই তরল হালকা বাতাসের উপাদান বিদ্যুতে পাল্টে দেয়। কীভাবে সম্ভব হবে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন?
সম্প্রতি মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী একটি বিশেষ রকম উৎসেচক তরলের খোঁজ পেয়েছেন। এই তরলটি মাটিতে থাকা একটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়ার দেহে তৈরি হয়। মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখতে হয় এমন ব্যাকটেরিয়ার এই উৎসেচকের নাম ‘হাক’। এই ‘হাক’-এরই রয়েছে বিশেষ ক্ষমতা। পাতলা বাতাসের মধ্যে থাকা হাইড্রোজেনকে উৎসেচকটি বিদ্যুতে পাল্টে দেয়। সেই বিদ্যুৎ দিয়েই দিব্যি নানা কাজ করা যাবে এবার। যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যুৎ তৈরি করতে দরকার যথেষ্ট পরিমাণে ‘হাক’। বিজ্ঞানীদের কথায় সেও খুব একটা কঠিন কোনও ব্যাপার নয়। কারণ, এই ‘হাক’ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে দীর্ঘ দিন ধরে সংরক্ষণ করা যায়। হিমাঙ্কের তাপমাত্রায় দীর্ঘ দিন একভাবে রেখে দিলে কোনও ক্ষতি হয় না এর।
মোনাস বিশ্ববিদ্যলয়ের বায়োমেডিসিন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ক্রিস গ্রিনিং সংবাদমাধ্যমকে জানান, সম্প্রতি কিছু দিন হল জানা গিয়েছে এমন একটি ভালো ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা হাইড্রোজেন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। এছাড়াও, বাতাস থেকে শক্তি নিয়েই বেঁচে থাকে ও বেড়ে ওঠে সেই ব্যাকটেরিয়া। কোথায় কোথায় দেখা মিলবে এই ব্যাকটেরিয়ার? বিজ্ঞানীদের কথায়, এই ব্যাকটেরিয়া প্রায়ই দেখা যায় মাটিতে। এমনকী আন্টার্কটিকার মাটিতে, আগ্নেয়গিরির ভিতর ও সমুদ্রের তলাতেও এদের দেখা মেলে। তাই ঠিক মতো কাজে লাগাতে পারলে এর থেকেই পরিবেশবান্ধব উপায়েই বিদ্যুৎ তৈরি করা যাবে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক