সারা বাংলা যখন বিষাদের সুরে মগ্ন, তখন আনন্দের ধ্বনি শোনা যায় এই অঞ্চলে। কারণ তখন বোধন হচ্ছে মায়ের। তাঁর আবাহনে জড়ো হয়েছেন এলাকার সমস্ত পুণ্যার্থীরা। প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এই পুজোয় এটাই রীতি। মায়ের কাছে পুজো দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এখানে দাঁড়িয়েও থাকেন ভক্তরা। উত্তরবঙ্গের একটি বিশেষ অঞ্চলে মা দুর্গার পুজোর রীতি খানিকটা এমনই। তবে এখানে মা নিজরূপে নন, পূজিত হন দেবী ভাণ্ডানীর রূপে। আর তাঁকেই পুজো দিতে আশপাশের জেলা থেকে ছুটে আসেন অসংখ্য অগণিত ভক্তরা।
আরও পড়ুন - কুমারীর সঙ্গে পূজিত হন সধবাও, হাওড়ার এই বনেদি পুজো শুরুর কারণ অলৌকিক এক ভোর
পূজিত হন ভাণ্ডানী রূপে
উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্নিশ গ্রামে মা দুর্গা পূজিত হন ভাণ্ডানী রূপে। প্রায় ৫০০ বছর ধরে একাদশীর দিনেই তিনি পূজিত হয়ে আসছেন। জলপাইগুড়ি জেলার এই পুজো এতটাই ঐতিহ্যমণ্ডিত যে আশেপাশের গ্রাম যেমন দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, কোচবিহার থেকেও ভক্তরা এসে উপস্থিত হন এখানে।
শস্যের ভাণ্ডারের দেবী
তবে ভাণ্ডানী নামের নেপথ্যে রয়েছে একটি ইতিহাস। শস্য ভাণ্ডারের দেবী হিসেবে দেখা হয় মা দুর্গাকে। তাই তাঁর নাম এমনটা বলে মনে করা হয়। প্রসঙ্গত, ভাণ্ডানী দেবী মূলত পূজিত হন কৃষক সম্প্রদায়ের মধ্যে। তাদের শস্যের ভাণ্ডারের দেবী বলে তাঁকে গণ্য করা হয় বলেই ভাণ্ডানী দেবী।
আরও পড়ুন - নৌকা বা গজ নয়, প্রবাদে ‘চড়ে’ কলকাতার ৩ বনেদি বাড়ির পুজোয় প্রতি বছর আসেন মা