পুজো এলেও এখনও পর্যন্ত বর্ষার রেশ কাটেনি। মাঝে মাঝেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে। আবার কোনও কোনও স্থানে খটখটে রোদের জেরে পাল্লা দিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। প্রচণ্ড গরম ও বর্ষার এই পরিস্থিতিতে বাতাসে বাড়ছে বিভিন্ন জীবাণুর পরিমাণ। পুজোর আগে এই জীবাণুই কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। বর্তমানে শহরজুড়ে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে সর্দিকাশি, জ্বর ও ভাইরাল রোগে। এই সমস্যার মোকাবিলা করতে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক। এখন থেকেও কোন কোন রোগের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকা জরুরি? সে কথাই হেলথশটসকে জানাচ্ছেন চিকিৎসক সিরি কামাথ (কনসালটেন্ট, গ্লেনেগলস বিজিএস হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন)।
কোন কোন রোগের বিরুদ্ধে জরুরি সতর্কতা?
১. ক্রমাগত কাশি - ক্রমাগত কাশি এই সময় বড় লক্ষণ হতে পারে জীবাণু সংক্রমণের। অনেক সময় এর জেরে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। আসলে আর্দ্রতার কারণে আমাদের ফুসফুসের মিউকাস আরও ঘন হয়ে যায়। যার ফলে ক্রমাগত কাশি হতে থাকে। এমন কাশি এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া দরকার বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক। মরসুমি সর্দিকাশির থেকে বড় সমস্যাও হতে পারে এটি।
২. আপার রেসপিরেটরি ইনফেকশন - ফুসফুসের উপরের অংশে ছড়াতে পারে সংক্রমণ। মূলত এই সংক্রমণের জেরে গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, নাক বন্ধ, হালকা জ্বরের মতো লক্ষণ দেখা দেয়। বৃষ্টির কারণে এই সময় জমা জলে মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায়। যা থেকে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো রোগগুলির প্রকোপও বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক। তাই লক্ষণ বা উপসর্গ যদি জটিল আকার ধারণ করে, তবে দ্রুত সতর্ক হওয়া ভালো।
৩. কনজাংটিভাইটিস - বর্ষায় সময় চোখের সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায় অনেকটাই। কনজাংটিভাইটিস সহজ বাংলায় জয় বাংলা নামেও পরিচিত অনেকের কাছে। এটি মূলত ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। এর জেরে সংক্রমণ একজনের থেকে অন্যজনের মধ্যেও ছড়াতে পারে। তাই এই সময় চোখ মোছার ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ চোখ মোছা হাতে অন্যের হাত ধরলে বা হাতে লাগলে, সেই হাত চোখে গেলে সমস্যা হতে পারে। এই সংক্রমণেরও স্থায়ীত্ব কমবেশি এক সপ্তাহ হয়। তবে এই সমস্যা বেশিরভাগ সময়ে নিজে থেকেই সেরে যায়। গুরুতর ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।