বয়সের নিরিখে একেবারেই নবীন। কিন্তু অভিনবত্বের কারণেই ভিড় টানে এই পুজো। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে দুর্গাপুজোর নানা রূপ আমরা দেখতে পাই। কোথাও মা পূজিত হন বিশেষ সাজে, কোথাও মায়ের পুজোয় ভোগ হয়ে ওঠে মুখ্য আকর্ষণ। কিন্তু এই পুজোয় মন্ত্রই স্থান দখল করেছে বিশেষভাবে। নেপালি রীতিতে মন্ত্র উচ্চারিত হয় উত্তরবঙ্গের এই দুর্গাপুজোয়। রীতি নেপালি হলেও অগাধ ভক্তিই ভক্তদের প্রতি বছর জমায়েত করে এই পুজোদালানে।
মা পূজিত হন কন্যা রূপে
গত ৪২ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আলিপুরদুয়ারের দলসিংপাড়া নেপালি দুর্গা মণ্ডপ কমিটির পুজো। এই পুজোয় মা পূজিত হন কন্যা রূপে। দেবী এখানে পালকিতে আসীন। এই পুজোর বিশেষত্ব নেপালি রীতির মন্ত্র। নেপালি মন্ত্র উচ্চারণ করে দেবীর আবাহন করেন পুরোহিত। সেই মন্ত্রেই সপ্তমীর ভোরে আয়োজন করা হয়ে থাকে বিশেষ শোভাযাত্রার।
আরও পড়ুন - পিতৃপক্ষেই মহাযোগ! পকেট ভারী হবে ৭ রাশির, সোনার মতো চমকাবে ভাগ্য
এলাকা পরিক্রমা করেন মা দুর্গা
সপ্তমী সকালে মাকে পালকিতে চড়িয়ে ফুলপাতি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। গোটা এলাকায় পরিক্রমা করেন মা দুর্গা। অষ্টমীর সকালে অঞ্জলি দেন এলাকার সকল ভক্তেরা মিলে। নবমীর দিন মা দুর্গাকে লাল ওড়না দিয়ে থাকেন পুণ্যার্থীরা। এই লাল ওড়়না মায়ের আভরণ হিসেবে ব্যবহারের চল রয়েছে।
আরও পড়ুন - কুমারীর সঙ্গে পূজিত হন সধবাও, হাওড়ার এই বনেদি পুজো শুরুর কারণ অলৌকিক এক ভোর
মহালয়ার দিন থেকেই শুরু তোড়জোড়
পুজোর আয়োজন শুরু হয়ে যায় মহালয়ার দিন থেকেই। ওই দিন এলাকার ভক্ত পুণ্যার্থী ও সাধারণ মানুষরা একে একে জড়ো হন পুজোর জোগাড় যন্ত্র করার কাজে। উদ্যোক্তাদের কথায়, প্রায় ৪৫-৫০ বছর আগে শুরু হয়েছিল এই পুজো। এই পুজোয় আলাদা করে কোনও থিম থাকে না। তা সত্ত্বেও এলাকার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের আয়োজনে প্রাণোজ্জ্বল হয়ে ওঠে এই অঞ্চলের পুজো।