রবিবার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। আর এই দিনেই দেখা যাবে বিরল মহাজাগতিক ঘটনা। যা প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলবে। এই বিশেষ দিনেই দেখা যাবে ব্লাড মুন বা রক্তিম চাঁদ। এটি মূলত পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় ঘটে। জ্যোতির্বিজ্ঞান বলছে, যখন সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরলরেখায় আসে এবং পৃথিবী সূর্যের আলোকে সম্পূর্ণভাবে আটকে দেয়, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। এর ফলে চাঁদ অদৃশ্য না হয়ে একটি গাঢ় লাল বা কমলা রঙ ধারণ করে। চাঁদের এই বিশেষ রঙের জন্য চাঁদকে দেখতে রক্তিম লাগে। যা ব্লাড মুন নামে পরিচিত ইংরেজিতে।
আরও পড়ুন - চন্দ্রগ্রহণে কখন শেষ হচ্ছে সূতককাল? ভুলেও করা যাবে না এসব কাজ
ব্লাড মুন কেন হয়?
যদিও পৃথিবীর ছায়া চাঁদকে ঢেকে রাখে, তবুও কিছু সূর্যালোক পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে চাঁদের পৃষ্ঠে পৌঁছায়। এই প্রক্রিয়াটিকে রেইলে স্ক্যাটারিং (Rayleigh scattering) বলা হয়। যখন সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে যায়, তখন ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো, যেমন নীল ও বেগুনি রঙ, বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো, যেমন লাল ও কমলা রং কম ছড়িয়ে পড়ে এবং বাঁকা পথে চাঁদে পৌঁছায়। এই লাল আলো চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে, যার ফলে চাঁদকে লাল দেখায়। আজ সন্ধের পর থেকে দেখা যাবে ব্লাড মুন। প্রসঙ্গত, একটু লক্ষ করলে দেখা যাবে, বিকেলের সময় আকাশ লাল দেখায়। এই একই বৈজ্ঞানিক কারণে সূর্যাস্তের সময় আকাশের রং রক্তাভ হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন - ইউক্রেনের মন্ত্রীভবনে ৮০০ ড্রোন হামলা! পাল্টা হামলায় আগুন ধরল রাশিয়ার অয়েলপাইপে
ব্লাড মুন কি খালি চোখে দেখা নিরাপদ?
এই ঘটনাটিকে ব্লাড মুন নামে জনপ্রিয় হলেও এটি বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত শব্দ নয়। তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এবং সাধারণ মানুষ এই বিরল ও দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যটিকে এই নামেই ডাকেন। এটি খালি চোখে দেখা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং এর জন্য কোনও বিশেষ চশমা বা সরঞ্জামের প্রয়োজন হয় না।