সোশ্যাল মিডিয়ায় কত কিছুই না ভাইরাল হয়। কোনওটা বিশেষ ভাবে নেটিজেনদের মনে দাগ কেটে যায়। কোনওটা আবার হাসির খোরাক হয়। এদিন সরস্বতী পুজোর ঠিক মুখেই ভাইরাল হল এক যুবতীর কাণ্ড। সরস্বতী স্পেশাল কনটেন্ট বানাতে গিয়ে নেটপাড়ার কটাক্ষের মুখে পড়লেন।
আরও পড়ুন: কৌশিক-জয়দীপের পর ফেডারেশনের কোপে আরেক পরিচালক? সিনেমার পর এবার বন্ধের মুখে সিরিজের শ্যুটিং?
কী ঘটেছে?
এদিন মেঘনা ঘোষ নামক এক মহিলা তাঁর ফেসবুকের পাতায় একটি রিল পোস্ট করেন। সেখানেই দেখা যাচ্ছে তিনি একটি বেইজ রঙের শাড়ি এবং কনট্রাস্ট ব্লাউজ পরে, খোলা চুলে হলুদ ডালিয়া লাগিয়ে সরস্বতী পুজোর বিশেষ সাজে সেজেছেন। কপালে বড় টিপ। গলায় মুক্তোর হার। একটি বাড়ির দালানে বসে তানপুরা বাজাচ্ছেন। না, সমস্যা এখানে নয়। সমস্যা তিনি তানপুরাটাকে ধরেছেন সেতারের মতো। আর সেটা দেখেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন নেটিজেনরা। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সারেগামাপা জিমুত রায়, সৌম্য চক্রবর্তী প্রমুখ।
কে কী বলছেন?
ইতিমধ্যেই এই ভিডিয়ো মজার ছলে ৩ হাজার শেয়ার হয়েছে। লাইক পেয়েছে প্রায় ১০ হাজার। কমেন্টের সংখ্যাও কম নয়। সৌম্য চক্রবর্তী এদিন লেখেন, 'এতো কষ্ট করে সবটাই করছিলেন যখন তানপুরার বদলে সেতার ভাড়া নিতেন। তাহলে এই খেলো গিরিটা হত না।' জিমুত রায় লেখেন, 'বুঝতে পারছি আপনি সঙ্গীতজ্ঞ নন। কিন্তু যাঁরা তাঁদের গোটা জীবন তানপুরা বাজিয়ে কাটিয়ে দিল তাঁদের সম্মান জানানো উচিত। কিছু বানানোর আগে সেটা নিয়ে রিসার্চ করুন ভালো করে।'
এক ব্যক্তি লেখেন, 'বীণা ভেবে তানপুরা বাজিয়ে সেতারের শব্দ বের করার রেয়ার প্রতিভা!' দ্বিতীয়জন লেখেন, 'আঁতেল হতে মাথায় একটা বড়ো টিপ লাগে, ট্যালেন্ট বা বুদ্ধি না হলেও চলে।' কেউ আবার লেখেন, 'অশিক্ষা (কুশিক্ষা) -র নির্লজ্জ প্রদর্শনে আপনারা বোধহয় খুবই আনন্দ পান, তাই না? নিজের যোগ্যতা দিয়ে পাবলিসিটি পাওয়ার চেষ্টা করুন।' চতুর্থ ব্যক্তি লেখেন, 'শুধু বাইরে মেকআপ থুপলে হবে? ভেতরের শিক্ষাটাও একটু দরকার যে। কোনো কাজ করার আগে মিনিমাম পড়াশোনা নেই সেই বিষয়ে। মডেলিং/অ্যাকটিং খুব কঠিন বিষয় যারা সিরিয়াসলি করেন তাদের কাছে। আপনারটা লোক হাসানো হয়ে গেছে।'