বেশকিছুদিন আগে পর্যন্ত টলিপাড়ায় চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও পৃথা চক্রবর্তী। তাঁদের বিয়ে নাটকীয় রূপ নেয়। তবে সে যাই হোক, আপাতত দু পক্ষই জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা অফিসিয়ালি ডিভোর্সড। তবে এই বিবাহবিচ্ছেদের খবর জানাতে গিয়ে যে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে সুদীপের সদ্য প্রাক্তন স্ত্রী, নৃত্যশিল্পী পৃথা চক্রবর্তীকে।
শুধু তাই নয়, ডিভোর্সের রেশ কাটতে না কাটতেই অতি সম্প্রতি নিজের অভিনেতা ভাই-এর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন পৃথা। তবে অভিনেতা সার্থককে দেখে নেটিজেনদের অনেকেই পৃথার প্রেমিক বলে ভেবে নেন। ফের শুরু হয় ট্রোলিং। তবে পৃথা তাঁদের পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েননি। লেখেন, সেই, ভাই-দিদির সম্পর্ক যদি নতুন ডেসটিনি হয় তাহলে আর কিছু বলার নেই। ছেলে আর মেয়ে মানেই কিছু একটা। মানুষের আলাদাই ট্যালেন্ট।'
তবে ট্রোলিং যেন কিছুতেই বন্ধ হয় না। আজকাল নেটপাড়ায় যে যাই পোস্ট করুন না কেন, কোনও পোস্টেই নিন্দুকের অভাব হয় না। আর তাই এবার নিজের মনের কথা-ই শুনবেন বলে ঠিক করেছেন পৃথা। আর সেকথাই জানিয়ে দিয়ে নিজের ইনস্টাস্টোরিতে পৃথা চক্রবর্তী বৃধবার লেখেন, 'নিজের আত্মাকে খুশি রাখুন, সমাজকে নয়'।

এদিকে ভাইরাল হওয়া আদালতের নির্দেশনামা থেকে জানা গিয়েছিল, ২০২২ সালের আগস্ট মাস থেকে সুদীপ ও সঞ্চারি (পৃথার আসল নাম) আলাদা থাকছিলেন। আদালতে জমা পড়া সেই হলফনামায় দুজনেই জানিয়ে দেন যে, তাঁরা আর একে অপরের সঙ্গে বৈবাহিক জীবন কাটাতে চান না।
এদিকে অতি সম্প্রতি দ্য ওয়াল-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুদীপ জানিয়ে দেন, তিনি আপাতত একাই থাকছেন। আর তাঁর যে বাড়ি, পৃথা সেখানে দুই ছেলেকে নিয়ে থাকছেন। সন্তানরা কার কাছে থাকছেন এবিষয়ে ছোটপর্দার ‘স্বতন্ত্র’ জানান, সিরিয়ালের মারাত্মক চাপ। তাই তাঁর দুই ছেলে, পোষ্য, পৃথা, সবাই একসঙ্গে। তিনিও সময় পেলে যান সেই বাড়িতে। ছেলেদের সঙ্গে গল্প খেলায় মজেন। এমনকী, পৃথার সঙ্গেও এখনও সুসম্পর্ক রয়েছে তাঁর।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই ডিভোর্সের কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে সুদীপ জানিয়েছিলেন, নেহাতই প্র্যাঙ্ক করতেই নাকি পৃথা এমন পোস্ট করেছেন। আর এরপরই লোকজন পৃথাকেই এমন মজা করার কারণে আক্রমণ করতে শুরু করেন। অবশেষে সুদীপ বিবাহ-বিচ্ছেদের খবর স্বীকার করে নিয়ে জানান, প্র্যাঙ্ক নয়, পৃথা সঠিক কথাই জানিয়েছেন। তবে ব্যক্তিগত বিষয় তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আনতে চাননি। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় সবকিছু। বিষয়টা আরও স্পষ্ট হয়ে যায় আদালতের রায়ে।