'মলদ্বীপ সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সংকল্পে অটল।' ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে মঙ্গলবার দুপুরের জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের তিন বাসিন্দা। ইতিমধ্যে হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্করের ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। ইতিমধ্যে এই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চিন। এমনকী নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেও নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে পাকিস্তান। এই আবহে এবার ভারতের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মলদ্বীপও।
আরও পড়ুন-Pahalgam Attack: এটা পয়সা লোটার সময় নয়! পহেলগাঁও হামলার পরে টিকিটের দাম না বাড়ানোর নির্দেশ
বুধবার এক্স পোস্টে মুইজ্জু বলেন, 'পহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় নিরীহ মানুষের প্রাণহানি এবং বহু আহত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত এবং মর্মাহত। মলদ্বীপ সরকার সমস্ত প্রকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সংকল্পে অটল রয়েছে। এই কঠিন সময়ে আমাদের সমবেদনা ক্ষতিগ্রস্ত এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে রয়েছে।'
২০২৩ সালের শেষ দিকে মলদ্বীপের ক্ষমতায় আসেন মুইজ্জু। তাঁর আগের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি ভারতের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু মুইজ্জু চিন ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ফলে ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্কের অবনতি হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদীর লক্ষদ্বীপ সফরকে কেন্দ্র করে মলদ্বীপের মন্ত্রীদের কটাক্ষের পর ভারত থেকে মলদ্বীপ বয়কটের ডাক ওঠে। অনেক পর্যটক টিকিট বাতিল করেন। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে মলদ্বীপ। পরে দুই দেশের সম্পর্কের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এই আবহে দিল্লির পাশে দাঁড়িয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটি।
আরও পড়ুন-Pahalgam Attack: এটা পয়সা লোটার সময় নয়! পহেলগাঁও হামলার পরে টিকিটের দাম না বাড়ানোর নির্দেশ
তারইমধ্যে আজ পহেলগাঁওয়ের বৈসরণে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পহেলগাঁওয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, বুধবার শ্রীনগরে তাঁদের শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে হেলিকপ্টারে করে প্রায় ১১০ কিলোমিটার দূরে বৈসরন উপত্যকায় আসেন শাহ। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, কীভাবে হামলা চালানো হয়েছিল, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিস্তারিতভাবে জানান সুরক্ষা বাহিনীর আধিকারিকরা। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, ‘সন্ত্রাসবাদের সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে নেবে না ভারত। এই কাপুরুষোচিত জঙ্গি হামলার পিছনে যারা আছে, তাদের ছাড়া হবে না।’