ভিকি বলেন, স্টারডম তো আজকাল ‘ইনস্ট্যান্ট কফি-র মতো যখন চান বানিয়ে নিতে পারেন, কিংবা ফাস্টফুডের মতো চাইলেই কিনে নিতে পারেন। ভিকির সাফ কথা তিনি এই স্টারডমে বিশ্বাসী নন, আর তিনি তারকা হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে সামিল হতেও চান না। তারকা বলতে তিনি বোঝেন শাহরুখ, সলমন, হৃত্বিকদের।
শাহরুখ-লমন-হৃত্বিক প্রসঙ্গে ভিকি
‘আজকাল তো সবাই তারকা, স্টারডম এখন খানিকটা ফাস্ট ফুডের মতো বিষয়।’ 'স্টারডম' নিয়ে এমনই মত ভিকি কৌশলের। তাই ভিকির সাফ কথা তারকা হতে তিনি চান না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তারকা হওয়া নিয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মতামত ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেতা।
সাক্ষাৎকারে ভিকিকে প্রশ্ন করা হয় তারকা হিসাবে তাঁকে যখন শাহরুখ, সলমন, হৃত্বিকদের পাশে বসানো হয়, তখন তিনি কেমন বোধ করেন? কী অনুভূতি হয়? একথায় ভিকি বলেন, স্টারডম তো আজকাল ‘ইনস্ট্যান্ট কফি-র মতো যখন চান বানিয়ে নিতে পারেন, কিংবা ফাস্টফুডের মতো চাইলেই কিনে নিতে পারেন। ভিকির সাফ কথা তিনি এই স্টারডমে বিশ্বাসী নন, আর তিনি তারকা হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে সামিল হতেও চান না। তারকা বলতে তিনি বোঝেন শাহরুখ, সলমন, হৃত্বিকদের, যাঁরা অনেক পরিশ্রম করে আজ নিজেদের এই জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন, তারকা হয়েছেন।
ভিকির কথায় ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’-এর পর হৃত্বিক রোশন প্রকৃত অর্থেই তারকা হয়ে ওঠেন। হৃত্বিকের জন্য অনুরাগীরা তখন পাগল হয়ে ওঠেন। আমিও তখন হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। আমাক বাবা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতেন, তারপরেও আমি ওঁর সঙ্গে শুধু একবারই দেখা করতে পেরেছিলাম। ওঁর সঙ্গে দেখা করার জন্যও আমাকে অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আজকের যুগে সবটাই তাৎক্ষণিক, হাতের মুঠোয়। যখনক্ষণ খবরে থাকবেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকবেন, ততক্ষণই আপনি তারকা। সত্যিকারের তারকা হওয়ার জন্য দীর্ঘায়ু হতে হয়, যেমন শাহরুখ, সলমন, হৃত্বিক। বলিউডে এসে কয়েকদশক পরিশ্রম করে তবেই ওঁদের কাছে স্টারডম এসেছিল, আর তাঁদের সেই খ্যাতি সারা জীবনের। তাই স্টারডম অনেক পরিশ্রম করে অর্জন করতে হয়, এটা ইনস্ট্যান্ট কফি নয় যে যখন ইচ্ছা বানিয়ে নিলাম, ফাস্টফুডও নয় যে যখন ইচ্ছা কিনে নিলাম। আজকাল তো লাইক, ফলোয়ার্স সবই টাকা দিলে কেনা যায়। আমি দর্শকদের থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে আমি কৃতজ্ঞ, তবে আমি নিজেকে তারকা বলে মনে করি না।’