
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
সোমবার থেকে দেশ জুড়ে কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)। দেশজুড়ে সিএএ লাগু হতেই বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। মঙ্গলবার হাবড়ার সভা থেকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একবার জানিয়েছেন, প্রাণ থাকতে বাংলায় তিনি ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেবেন না। মুখ্যমন্ত্রী দাবি, বাংলার বৈধ নাগরিকরাও সিএএ-এর জন্য আবেদন করলে অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন।
এবার সিএএ-র প্রতিবাদ জানালেন তৃণমূল যুব নেত্রী রাজন্যা হালদার। গান গেয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। সিএএ থেকে মণিপুর, সব ইস্যুতে গান বাঁধলেন রাজন্যা। তাঁর গানে উঠে এল সন্দেশখালি ইস্যুও। এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি ট্রেন্ডিং অন্যতম জনপ্রিয় গান ‘নিঠুর মনোহর’। গানটি গেয়েছেন এবং লিখেছেন বাংলাদেশের এক নবাগত তরুণ ঈশান মজুমদার। মঙ্গলবার ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তৃণমূল যুবনেত্রী রাজন্যা। সেই ভিডিয়োতে ‘নিঠুর মনোহর’ গানের সুরে একটি গান গেয়েছেন তিনি। যদিও গানের কথা ভিন্ন, রাজন্যার গানে উঠে এসেছে সিএএ, মণিপুরের কথা। আরও পড়ুন: জয়পুরে রাজকীয় বিয়ে সারলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার তুতো বোন, দেখুন মীরার বিয়ের প্রথম ছবি
তৃণমূল এই যুবনেত্রীর গানে বলা হয়েছে, ‘আমার দেশের মানুষ ভাবিয়া দেইখো আসিয়া… আমি কেমন আছি আবাস ছেড়ে গ্যাসেরও দাম বাড়িয়া…দেইখো আসিয়া'। সিএএ প্রসঙ্গ তুলে গানের লাইনে বলা হয়েছে, ‘আমার ভাবতে লাগে ভয়…সিএএ বড় কষ্ট দেয়।’ পাশাপাশি মণিপুরে নারী নির্যাতন ইস্যুতে বলা হয়েছে, ‘যখন মণিপুর হয় রাজা যে চুপটি করে রয়…’। একই গানে আবার সন্দেশখালিতে সাজিয়ে বাংলা জয় করার কথাও বলেছেন রাজন্যা, ‘সন্দেশখালি সাজিয়ে বলো বাংলা করব জয়…।’
প্রসঙ্গত, ভালো গায়িকা হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তৃণমূল যুবনেত্রী রাজন্যা হালদার। স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই রাজন্যার গানের প্রশংসা করেছেন। এর আগে একাধিক সময় তাঁর গানের গলা প্রতিবাদের ভাষা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা ‘জয়ী’ ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য তিনি।
সিএএ কার্যকর হওয়ার পরেই মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিবাদ। যদিও বেশ কয়েক বছর আগেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএএ পাশ হয়েছে সংসদে। এবার সেটা কার্যকর করা হল। নিয়ম বিধি তৈরি করে সদ্যই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর দেশে সিএএ লাগু হতেই অনেকেই তার বিরোধিতা করেছেন।
সিএএ আসলে কী?
সিএএ আইনে বলা হয়েছে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে যে মুসলিম ধর্মের মানুষ ছাড়া অন্যান্য ধর্মের সংঘ্যালঘু মানুষরা ভারতে এসেছেন তাঁরা এই দেশের নাগরিকত্ব পাবেন। সিএএর কারণে অসম, বাংলা সহ ত্রিপুরার মতো রাজ্যের বহু মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে একাধিক রাজনৈতিক দলের তরফে। এনআরসি হয় যখন তখন অসমের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ সমস্যায় পড়েন। তাই এবার সিএএ লাগু হলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন তাঁর রাজ্যের কারও নাগরিকত্ব ক্যানসেল হলে তিনি তার বিরোধিতা করবেন। এবং মোটেই ছেড়ে দেবেন না।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports