২৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে এবারের কলকাতার আন্তর্জাতিক বইমেলা। শীতের শহর অসমাপ্ত লাগে বাঙালির ১২ পার্বণের এই ১৩ পার্বণ ছাড়া। কিন্তু এবারের বইমেলা অন্যান্যবারের তুলনায় একটু আলাদা। এবার নেই বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। পড়শি দেশ অনুপস্থিত। আর সেই বিষয়েই এবার মুখ খুললেন তসলিমা নাসরিন।
আরও পড়ুন: ৮০ কোটি টপকে গেল স্কাইফোর্স! ষষ্ঠ দিনে আয় বেড়ে কত লক্ষ্মীলাভ হল অক্ষয়ের ছবির? কী হাল ইমারজেন্সির?
কী লিখলেন তসলিমা নাসরিন?
এবারের বইমেলায় বাংলাদেশের না থাকা প্রসঙ্গে বরাবরের মতোই চাঁচাছোলা ভাষায় নিজের মতামত জানালেন লজ্জা লেখিকা। তসলিমা এদিন লেখেন, 'এবারের কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন নেই। বাংলাদেশের বইমেলায় কোনওদিন কি পশ্চিমবঙ্গ প্যাভিলিয়ন থাকে? থাকে না। থাকে না, কারণ, থাকাটা নিষিদ্ধ। পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত কোনও বইও বাংলাদেশের বইমেলায় থাকে না। থাকে না ব্যাপারটা এখন তুমিও যাবে না, আমিও যাবো না, বুঝলে নটবর গোছের হয়েছে।'
তিনি এদিন আরও লেখেন, 'আমি উদারতায় বিশ্বাসী। পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ তার মেলায় এতকাল ঢুকতে না দিলেও পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশকে ঢুকতে তো দিয়েছেই, রীতিমত জামাই আদরে রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গের নিঃস্বার্থ ভূমিকা প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু এত উদারতা দেখেও উদারতা শেখেনি বাংলাদেশ। কিছু লোক আছে, অন্যের বাড়িতে বছরের পর বছর নেমন্তন্ন খেয়ে বেড়ায়, কিন্তু অন্যকে কখনও নিজের বাড়িতে নেমন্তন্ন করে না। এমন বন্ধু কিন্তু থাকার চেয়ে না থাকাই ভাল। আগে উদারতা শিখুক, সমতা শিখুক, তারপর না হয় হাতে হাত রাখা যাবে।'
এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো, বিগত ২৮ বছর ধরে বাংলাদেশ কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশ নিয়ে আসছে। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার স্টল দিয়েছিল। এই বছর তাতে ছেদ পড়ল। বাংলাদেশের অন্দরে যে অচলাবস্থা চলছে সেটার জন্যই এবার বুক সেলার্স গিল্ড কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশকে জায়গা দেয়নি। নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছেন উক্ত গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়।