বৃহস্পতিবার ভোরে বান্দ্রার বাড়িতে সইফ আলি খানকে ছুরিকাঘাত করে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা। জানা গিয়েছে বাচ্চাদের ঘরের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল হামলাকারীরা। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিনেতার বড় ছেলে, তৈমুরের প্রাক্তন আয়া, ললিতা ডি'সিলভা। তিনি তৈমুর এবং জেহের মানসিক অবস্থার কথা ভেবে চিন্তিত।
সইফ-করিনার সন্তানদের মানসিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন বড় ছেলের প্রাক্তন আয়া
বৃহস্পতিবার ভোরে বান্দ্রার বাড়িতে সইফ আলি খানকে ছুরিকাঘাত করে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা। নায়ককে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে সেখানে তাঁর অস্ত্রোপোচারও হয়। জানা গিয়েছে, বাচ্চাদের ঘরের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল হামলাকারীরা। যদিও সইফের দুই সন্তান তৈমুর ও জেহের কোনও ক্ষতি হয়নি। তারা নিরাপদেই আছে। কিন্তু এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিনেতার বড় ছেলে, তৈমুরের প্রাক্তন আয়া, ললিতা ডি'সিলভা। তিনি তৈমুর এবং জেহের মানসিক অবস্থার কথা ভেবে চিন্তিত।
সইফ আলি খানের উপর হামলা নিয়ে মুখ খুললেন তৈমুরের আয়া
২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তৈমুরের আয়া ছিলেন ললিতা ডি'সিলভা। তিনি সাত বছর ধরে সইফ এবং কারিনার পরিবারের অংশ ছিলেন। পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডি'সিলভা বলেন, ‘আমার খুব খারাপ লাগছে, ওই মুহূর্তে তৈমুর ও জেহের মানসিক অবস্থার কথা ভেবে। বিশেষ করে জেহ তো অনেকটা ছোট, তার মনের উপর এই ঘটনা কতটা ভয়ঙ্কর ভাবে প্রভাব ফেলেছে সেটা কল্পনা করেই আমার খুব খারাপ লাগছে। ওরা নিশ্চয়ই খুব ভয় পেয়েছিল।’
ডি সিলভা আরও বলেন, ‘পুরো ঘটনা নিয়ে আমি খুবই উদ্বিগ্ন। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে দোষীদের শাস্তি হবেই। আমি এখনও ওই পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ বলতে পারিনি, তবে আমি আশা করি ওঁরা নিরাপদে আছেন। আমি ওঁদের জন্য প্রার্থনা করি।’
সইফ আলি খানকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা
বৃহস্পতিবার ভোরে এক অনুপ্রবেশকারী সইফ ও তাঁর স্ত্রী কারিনা কাপুরের বাড়িতে প্রবেশ করেছিল। অভিনেতার গৃহ সহায়িকা প্রথম তার মুখোমুখি হয়েছিল। সইফ হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করতে গেলে আততায়ী তাঁর উপর ছুরি চালায়। ফলে অভিনেতা দেহে প্রায় ৬টা ছুরির ক্ষত সৃষ্টি হয়। করিনা এবং তাঁদের দুই ছেলে তৈমুর ও জেহ তখন ওই বাড়িতেই ছিল।
ঘটনার পর সইফকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকদের একটি দলের তত্ত্বাবধানে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে চিকিৎসকরা জানান যে, তিনি বিপদমুক্ত হয়েছেন। তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে সন্ধ্যায় কারিনা জানান, ‘এটা আমাদের পরিবারের জন্য খুব কঠিন একটা সময়। আমরা এখনও এই ঘটনা কীভাবে ঘটল তা বোঝার চেষ্টা করছি। এই কঠিন সময় পার করার চেষ্টা করছি। তাই আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি যে মিডিয়া এবং পাপারাৎজিরা যাতে নিরলস জল্পনা এবং কভারেজ থেকে বিরত থাকেন।’