টেলিভিশনের পরিচিত মুখ অভিনেত্রী সুমনা চক্রবর্তী। এই বাঙালি নায়িকা সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছেন কপিল শর্মার অনস্ক্রিন স্ত্রী হিসাবে। সম্প্রতি দক্ষিণ মুম্বাইয়ে চলমান মারাঠা কোটা আন্দোলনের সময় ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলেন সুমনা। অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় গিয়ে একটি দীর্ঘ বিবৃতি পোস্ট করেছেন, যদিও পড়ে তা মুছে দেন সুমনা।
রবিবার প্রতিবাদ চলাকালীন যে ভয় ও হতাশার মুখোমুখি হন সুমনা, তাই ভাগ করে নিয়েছেন সমাজিক যোগযোগ মাধ্যমে। ইনস্টাগ্রামে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সুমনা জানান, ৩১ অগস্ট রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ কোলাবা থেকে কেল্লা যাওয়ার পথে আচমকাই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভকারীরা। আজাদ ময়দানে মনোজ জারাঙ্গের নেতৃত্বে বড় আকারের বিক্ষোভটি তৃতীয় দিনে প্রবেশ করেছে, হাজার হাজার মানুষ। ওবিসি বিভাগের অধীনে মারাঠাদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দিতে হবে, বিক্ষোভকারীদের দাবি এমনটাই।
সুমনা জানান, এক ব্যক্তি তাঁর গাড়ির বনেটে ধাক্কা মারে, হাসতে হাসতে তাঁর গাড়ির সঙ্গে পেট চেপে ধরেন, অন্যরা 'জয় মহারাষ্ট্র' বলে চিৎকার করে তাঁর জানালার কাঁচে ধাক্কা মারেন। এর কিছুক্ষণ পরেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। তিনি দক্ষিণ মুম্বাইয়ের পরিচিত রাস্তায়ও অসুরক্ষিতবোধ করার বর্ণনা দিয়েছেন, যেখানে তিনি সর্বদা সুরক্ষিত বোধ করেন। অবশেষে আশেপাশে পুলিশকে দেখতে পেলেও, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কোনও চেষ্টা না করেই তাদের অলসভাবে বসে থাকতে দেখে, গল্প করতে দেখে তিনি হতাশ হন।
তিনি রাস্তাগুলিকে কলার খোসা, প্লাস্টিকের বোতল এবং আবর্জনায় ভরা বলে বর্ণনা করেছেন এবং এই ঘটনাকে ‘নাগরিক অধিকারের সম্পূর্ণ উপহাস’ বলে অভিহিত করেছেন। সুমনা স্বীকার করেছেন যে তার সাথে একজন পুরুষ বন্ধু ছিল, যে কারণে খানিক হলেও সুরক্ষিতবোধ করেছেন, একা থাকলে হয়ত আরও মারাত্মক কিছুর আশঙ্কা তিনি করতেন। শুরুতে এই ঘটনাটি মুঠোফোনে রেকর্ড করতে উদ্যত হলেও, পরে সেই কাজ থেকে বিরত থাকেন সুমনা।
ইনস্টাগ্রামে একটি কড়া শব্দের বার্তায়,তিনি বলেন যা ঘটেছে তা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নামে প্রহসন। এমনটা চলতে থাকলে আইন ও শৃঙ্খলা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভেঙে পড়তে পারে। তিনি লেখেন, ‘আমাদের নিজের শহরে নিরাপদবোধ করার অধিকার আমাদের প্রাপ্য’।
সম্প্রতি লাফটার শেফস-আনলিমিটেড এন্টারটেইনমেন্ট এবং খতরো কে খিলাড়ি ১৪ (২০২৪)-তে দেখা মিলেছে সুমনার।