গত ১৯ নভেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ভরত দেব ভার্মা। তাঁর আকস্মিক প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী মুনমুন সেন এবং ২ মেয়ে রিয়া এবং রাইমা। কিছুদিন আগে রাইমা বাবার কিছু ছবি পোস্ট করে শোক প্রকাশ করেছেন। এদিন রিয়াকেও বাবার জন্য মন কেমন করা পোস্ট লিখতে দেখা গেল।
আরও পড়ুন: কনসার্টে তখন গানে মত্ত দিলজিৎ, আচমকাই মঞ্চে উঠে প্রেমিকাকে প্রোপোজ যুবকের! তারপর....?
কী পোস্ট করলেন রিয়া?
রিয়া সেন এদিন যে পোস্ট করেছেন তাঁর বাবা ভরত দেব ভার্মাকে নিয়ে সেখানে দেখা যাচ্ছে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসছেন ভরত দেব ভার্মা। আর তাঁকে চুমু খাচ্ছেন তাঁর মেয়ে রিয়া। এই ছবিটি পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, ' আদরের বাবা, বেশ কিছুদিন হয়ে গেল যে তুমি আমাদের ছেড়ে অন্য দুনিয়ায় চলে গেছ। আর সেটা মেনে নিয়েই এটা লিখছি। এই কঠিন সময় যে ভালোবাসা আর সমর্থন পেয়েছি সবার থেকে সেখান থেকেই বুঝেছি বাবা মাকে হারানোর যন্ত্রণা কী, তার অর্থ কী। স্টোরি, মেসেজের ভিড় আমায় বুঝিয়েছে আমি একা নই। একটা সময় কেউ আমার হাত ধীরে বলেছিল আমার এই চামড়া তোমার চামড়ার অংশ। তুমি সবসময়ই আমার অংশ হয়ে আমার মধ্যে থাকবে। অনেক ভালোবাসি।' এই পোস্টে অভিনেত্রী নিজেকে বাবার আদরের মেয়ে বলে জানাতেও ভোলেন না।
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে রাইমা সেনও ভরত দেব ভার্মাকে নিয়ে পোস্ট করেছিলেন। রাইমা সেন তাঁর বাবা অল্প বয়সের দুটো ছবি পোস্ট করেন। সঙ্গে নিজের ছোটবেলার একটি ছবিও। এই তিনটি ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, 'বাবা, এখনও কিছু লিখে উঠতে পারছি না। কথা কম পড়ে যাচ্ছে। তুমি একজন দারুণ ভালো বাবা, স্বামী ছিলে। ততদিন বাবা তুমি যেখানে আছ ভালো থেকো। এখানে যেমন রাজার মতো বেঁচেছ ওখানেও তেমন ভাবেই থেকো। তোমায় খুব মিস করব। ভালোবাসি তোমায়।'
ভরত দেব ভার্মার প্রয়াণ
মঙ্গলবার কলকাতার বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভরত দেব ভার্মা। তখন দিল্লিতে ছিলেন রাইমা সেন এবং তাঁর মা মুনমুন সেন। খবর পেয়েই তাঁরা তড়িঘড়ি শহরে ফেরেন। কঠিন সময় তাঁদের পাশে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখাও করেন তাঁদের সঙ্গে। এদিন আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে সেদিন আচমকাই ভরত দেব ভার্মার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বাড়ির লোকজন অ্যাম্বুলেন্সকে খবর দিয়েছিল। ঢাকুরিয়ার কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে বলে ঠিক করাও হয়। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসার আগেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভরত।