‘হাসছি মোরা হাসছি দেখ, হাসছি মোরা আহ্লাদী/ তিনজনেতে জট্লা করে ফোক্লা হাসির পাল্লা দি ৷’ ব্য়াকগ্রাউন্ডে শোনা যাচ্ছে কৌশিক সেনের গলায় সুকুমার রায়ের সেই 'আহ্লাদী' কবিতা। তবে দৃশ্যায়ন কিন্তু মোটেও হাসির নয়, আকাশে তখন গভীর মেঘ, মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। আর তারই মধ্যে মুখ ঢেকে দ্রুত পায়ে হেঁটে চলেছে এক খুনি, এক তরুণীর পিছু নিয়েছে সে। চৌবাচ্চার জলে চুবিয়ে তাঁকে খুন করা হল।
২৫ মে রবিবার মুক্তি পাওয়া ‘ম্য়াডাম সেনগুপ্ত’-এর টিজারের শুরুটা ঠিক এমনই। আর এই ভয় ধরানো দৃশ্যপটের পর দেখা মিলল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের। তিনিই এই ছবিতে বিখ্যাত কার্টুনিস্ট অনুরেখা সেনগুপ্তকে ওরফে ‘ম্য়াডাম সেনগুপ্ত’। ছবিতে তিনি তাঁর মেয়ে অনন্যার বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃশংস খুনের পিছনে লুকিয়ে থাকা সত্যির সন্ধান করে চলেছেন। এই খুনের পিছনে রয়েছে গোপন এজেন্ডা, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং পারিবারিক ভাঙনের এক ছায়াময় রহস্য।
টিজারে সুকুমার রায়ের 'আবোল তাবোল' থেকে এই ধ্রুপদী ব্যঙ্গাত্মক 'আহ্লাদী' কবিতাটির ব্যবহার বিশেষ ভাবে নজর কাড়ে। এখানে দেখা মেলে অভিনেতা রাহুল বোসের। যিনি কিনা আবার ছবিতে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের বন্ধু। এছাড়াও ছবিতে রয়েছেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, খরাজ মুখোপাধ্যায়, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-ঘরে কঙ্কাল ও মাথার খুলি কেন রাখতেন কিশোর কুমার? মুখ খুললেন ছেলে অমিত
এই ছবিতে কীভাবে একজন কার্টুনিস্ট নিজের মেয়ের খুনের তদন্তভার নিজের হাতে তুলে নিতে গিয়ে বিপজ্জনক খেলায় জড়িয়ে পড়বেন সেবিষয়টিই উঠে এসেছে। আর ছবির গল্পে ‘ম্য়াডাম সেনগুপ্ত’কে সঙ্গ দেবেন রাহুল বোস। দুজনে মিলেই রহস্য উদযাটনের পথে হাঁটবেন তাঁরা।
সায়ন্তন ঘোষালের পরিচালনায় তৈরি এটা একটা মার্ডার মিস্ট্রি। ছবির টিজারে দৃশ্যাবলী, সংলাপ, আবহসঙ্গীত সবকিছুই একটা রহস্যের বাতাবরণ তৈরি করেছে। নন্দী মুভিজের প্রযোজনায় ‘ম্য়াডাম সেনগুপ্ত’ মুক্তি পাবে আগামী ৪ জুলাই।