ছোটপর্দার পরিচিত মুখ পায়েল দেব। মঙ্গলবার নায়িকার জন্মদিন। স্বামী শিখর টন্ডন ইনস্টাগ্রামে নায়িকার বিশেষ দিনে তাঁর সঙ্গে ছবি শেয়ার করলেন আদুরে পোস্ট। লিখলেন, ‘তোমার সঙ্গে প্রতিটি দিন উপহারের মতো মনে হয়…।’
কী লিখলেন শিখর?
শিখর তাঁর ও পায়েলের একটি ছবি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন, আমার ভালোবাসা! তোমার সঙ্গে প্রতিটা দিন উপহারের মতো মনে হয়, কিন্তু আজকের দিনটা সম্পূর্ণ তোমার জন্য। তোমার হাসি আমার পৃথিবীকে আলোকিত করে, তোমার দয়া তোমার চারপাশের সকলকে স্পর্শ করে এবং তোমার ভালোবাসা আমাকে বেঁচে থাকা মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে ভাগ্যবান ব্যক্তি করে তোলে। প্রতিটা হাসি, প্রতিটা আলিঙ্গন, প্রতিটা শান্ত মুহূর্ত এবং আমরা একসঙ্গে ভাগ করে নেওয়া প্রতিটি অ্যাডভেঞ্চারের জন্য আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞ। তুমি যে অসাধারণ একজন নারী তা বলাই বাহুল্য। শুধু আজ নয়, প্রতিদিন এই অসাধারণ নারীকে উদযাপন করি। আমি তোমাকে শব্দের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’
আরও পড়ুন: প্রেম করছেন সুরভি-রিয়াজ? 'আমরা কাছাকাছি এসেছি…', মুখ খুললেন অভিনেতা
শিখরের পোস্টের রিপ্লাইতে কী লিখলেন পায়েল?
তাঁর এই পোস্ট দেখে অনুরাগীরা ভালোবাসায় ভরে দিয়েছেন। অনেকেই পায়েলকে তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অন্যদিকে, পায়েলও এই পোস্টে কমেন্ট করে লিখেছেন, ‘সবকিছুর জন্য অনেক ধন্যবাদ.…। তোমাকে ভালোবাসি।’
আরও পড়ুন: সাদাকালো ছবি দিয়ে মল্লিকাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা চান্দ্রেয়ীর! কী লিখলেন শ্রীতমা-গীতশ্রীরা?
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে পাঞ্জাবি পাত্র শিখর টন্ডনের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন পায়েল। দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে একবার অভিনেত্রী শিখরের সঙ্গে তাঁর প্রেমের বিষয়টি জানিয়ে ছিলেন। সেখান থেকেই জানা যায় পঞ্জাবি ভাষার প্রতি অগাধ প্রেম ছিল পায়েলের। আর সেই কারণেই আলাপ হয় শিখর টন্ডনের সঙ্গে আলাপ। এমনকী, এর পিছনে হাত রয়েছে দিদি নম্বর ১-এরও। একবার নাকি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিয়েলিটি শো-তে এসে পায়েল ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন পঞ্জাবি ছেলেকে বিয়ে করতে চান তিনি। আর সেই এপিসোডের ক্লিপিংসই এক বন্ধু মারফত পৌঁছেছিল শিখরের কাছে। আর তারপর ১ বছর ধরে শিখর সোশ্যাল মিডিয়ার মারফত টানা যোগাযোগ করে চলে পায়েলের সঙ্গে। শেষমেশ বন্ধুত্ব আর প্রেম হয় তাঁদের মধ্যে।
অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত নন শিখর। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। লকডাউনের সময় থেকে শুরু হয়ছিল তাঁদের প্রেমপর্ব। তবে পায়েল, শিখর দু’জনেই উত্তর কলকাতার বাসিন্দা।