শনিবার জয়পুরে প্রয়াত হন বলিউড অভিনেতা ইরফান খানের মা সাইদা বেগম। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। কিন্তু লকডাউনের জেরে বিদেশে আটকে রয়েছেন পিকু তারকা। ৩রা মে পর্যন্ত সবধরণের যাত্রীবাহী বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় দেশে ফেরার কোনও রাস্তা নেই। অগত্যা মায়ের অন্ত্যেষ্টিতে সরাসরি যোগ দিতে পারেননি ইরফান। কিন্তু টেকনোলজির দৌলতে শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে মায়ের শেষ দর্শন সারলেন অভিনেতা। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমেই যোগ দেন অন্ত্যেষ্টিতেও।এএনআই সূত্রে খবর শনিবার সকালে মৃত্যু হয়েছে ইরফান খানের মায়ের।রাজস্থানের টংক নবাব পরিবারের বংশধর ছিলেন ইরফানের মা সাইদা বেগম। জয়পুরের বেনিওয়াল কান্ত কৃষ্ণ কলোনিতে থাকতেন তিনি। জানা গিয়েছে স্বাভাবিক কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন সাইদা বেগম। শনিবার সন্ধ্যায় জয়পুরের উপকণ্ঠে চুঙ্গি নাকা কবরস্থানে সাইদা বেগমকে কবরস্থ করা হয়। লকডাউনের কারণে খুব অল্প সংখ্যক মানুষই শেষযাত্রায় অংশ নিতে পেরেছেন। সাইদা বেগমের তিন পুত্র-ইরফান, ইমরান ও সলমন। পরিবার সূত্রে খবর, ইরফানের অসুস্থার খবর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চিন্তায় ভুগছিলেন মা।২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইরফান খানের নিউরো এন্ডোক্রিন টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসে, এরপর দীর্ঘ সময় লন্ডনে চিকিত্সা চলেছে ইরফান খানের। গত বছর এপ্রিলে ভারতে ফিরেছিলেন অভিনেতা। বক্স অফিসে ইরফানের কামব্যাক ছবি ছিল আংরেজি মিডিয়াম। যদিও করোনার জেরে এক সপ্তাহও হলে টেকেনি এই ছবি। আপতত ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্ম ডিজনি হটস্টারে স্ট্রিম হচ্ছে এই ছবি।দিন কয়েক আগে প্রয়াত হন মিঠুন চক্রবর্তীর বাবা বসন্তকুমার চক্রবর্তীও। লকডাউনের জন্য বাবার অন্ত্যেষ্টি যোগ দিতে পারেননি মিঠুনও। শ্যুটিংয়ের কাজে বেঙ্গালুরু পৌঁছেছিলেন তারকা। লকডাউনের জেরে সেখানেই রয়েছেন তিনি।