শুক্রবার ‘দিদি নং ১’এর মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে খুনুসুটিতে মাততে দেখা যায় তাঁকে। ইমন ফাঁস করেন তাঁর নব বিবাহিত জীবনের একগুচ্ছ সিক্রেট। গায়ক নীলাঞ্জন ঘোষের সঙ্গে সাত মাস আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সংগীত শিল্পী। দম্পত্যের যাত্রাপথ, সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আড্ডায় মাততে দেখা যায়। সঞ্চালিকা রচনা এবং গায়িকা ইমনের বন্ধুত্বের কথা কারোই অজানা নয়। তাই বিয়ের সাত মাস পর বান্ধবী ইমনের কাছের চনার আবদার তাঁর সন্তানের মুখে ‘মাসি’ ডাক শুনতে চান তিনি। এই ডাক শোনার জন্য বসে রয়েছেন রচনা। সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর এই পর্বে। যদিও এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি গায়িকা। শুধুমাত্র হেসেছেন তিনি। এদিন স্বামী নীলাঞ্জনের বিষয় একাধিক সিক্রেট ফাঁস করেন ইমন। তিনি বলেন, নীলাঞ্জন নাকি খুব শৃঙ্খলা মেনে চলতে ভালবাসে। খুব কঠোর স্বামী তিনি। এমনকি তাঁর দৈনন্দিন খুঁটিনাটি বিষয়ও নজর রাখেন নীলাঞ্জন। খাবার থেকে যোগা গায়িকার জীবনে স্বামীর অবদানের কথা জানিয়েছেন। বন্ধুবান্ধব মিলে পার্টি করলে নীলাঞ্জন খেয়াল রাখেন, ইমন যেন বেশি চিৎকার করে নিজের গলা না খারাপ করে ফেলেন। তেমনি ইমন জানিয়েছেন, নীলাঞ্জন বড্ড কম কথা বলেন। তাঁকে ঠেলে ঠেলে কথা বলাতে হয়। মধুচন্দ্রিমার সময় এক মাজাদার গল্পও ফাঁস করেন ইমন। গায়িকার কথায়, ‘কোন এক পাহাড়ি তস্য গ্রামে নিয়ে গিয়েছিল নীলাঞ্জন। ফাঁকা একটা জায়গা। সেখানে উকুলেলে বাজিয়েই যাচ্ছে। আমি ভাবছি, ধরণী দ্বিধা হও! গান গেয়েই যাচ্ছে! এত গান আমি শুনতে পারব না তো। আমি বাধ্য হয়ে নীলাঞ্জনকে বলেছিলাম, আমি বিমানের টিকিট কাটছি, বাড়ি ফিরব। থাকতে পারব না।’ এই গল্প শুনে হেসে লুটোপুটি খেয়েছেন সেটের সকলে।