শতচেষ্টা সত্ত্বেও সিনেমা চুরি আটকানো সম্ভব হচ্ছে না কোনওভাবেই। তাই সিনেমাটোগ্রাফি আইনে অপরাধমূলক নীতি যোগ করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি ফিল্ম সার্টিফিকেশন সম্পর্কিত বেশকিছু বিষয়ও যুক্ত রয়েছে এই সংশোধিত আইনে। অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই সিনেমাটোগ্রাফ আইন (সংশোধিত), ২০২৩ বিল পেশ করা হবে। দ্রুত এই বিল পাশ করিয়ে তা কার্যকর করতে চায় কেন্দ্র। এদিন অনুরাগ ঠাকুর জানান, ‘পাইরেসির কারণে বিষয়বস্তু যাতে ক্ষতির মুখে না পড়ে তা নিশ্চিত করার জন্য, সিনেমাটোগ্রাফ অ্যাক্ট ২০২৩-এর খসড়া করা হয়েছে’।
এবার থেকে সিনেমা হলে বসে অনৈতিকভাবে ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা এবং তা প্রদর্শন করা অপরাধমূলক বলে গণ্য করা হবে। পাশাপাশি সেই সকল ওয়েবসাইটকে সরকার ব্লক করবে যেখানে পাইরেটেড ছবি প্রদর্শন করা হবে বা ছবির লিঙ্ক ডাউনলোড করা যাবে।
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের সদস্য বাণী ত্রিপাঠি টিকু হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, ‘এটা দীর্ঘদিনের অপেক্ষার ফল। আমি তো কবে থেকে চিৎকার করে বলছি এই আইনে পরিবর্তন দরকার। পাইরেসি শাস্তিযোগ্য অপরাধ, এই নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই।’
প্রযোজকদের জন্য বড় স্বস্তি কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ। পাইরেসির ধাক্কায় বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে বনি কাপুরকে। তাঁর তামিল ছিব ‘ভালিমাই’ মুক্তির আগেই অনলাইনে লিক হয়ে যায়। তাঁর কথায়, ‘এটা খুব জরুরি ছিল, ইতিবাচক একটা পদক্ষেপ’। প্রোডিউসার গিল্ডের সভাপতি শিবাশিস সরকারের কথায়, ‘নিঃসন্দেহে এই পদক্ষেপ ফিল্ম পাইরেসির বাড়বাড়ন্ত রুখতে সাহায্য করবে, বয়সানুসারে সার্টিফিকেশন পদ্ধতি চালু হবে সব প্ল্যাটফর্মে, সেটাও আশু পদক্ষেপ’।
অনুমোদিত সংশোধনে বলা হয়েছে, কেউ যদি কপিরাইট মালিকের লিখিত অনুমতি ছাড়া সিনেমা হলে কোনওরকম রেকর্ডিং করেন কিংবা সিনেমার ভিডিয়ো ক্লিপিং রেকর্ডের চেষ্টা করা হয়, সে ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি এই শাস্তির আওতায় পড়বে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে অনেকটাই স্বস্তিতে ফিল্ম জগত।