দিদি নম্বর ওয়ানে খেলতে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে এসে তিনি জানালেন তিনি কীভাবে রাজনীতিতে এসেছিলেন। বললেন তাঁর বাবার কথাও।
দিদি নম্বর ওয়ানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
দিদি নম্বর ওয়ানে খেলতে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে এসে তিনি জানান তাঁর ছোটবেলার কথা। বলেন, 'আমার বাবা আমার অনেক ছোট বয়সে মারা যান। তখন গোটা সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে আমার কাঁধেই। আমি মাঝ রাতে, রাত ৩-৪ টে নাগাদ উঠে সমস্ত রান্না বাড়ি করে স্কুলে যেতাম। আমার ছোটবেলাটা কবে যেন হারিয়ে গিয়েছে।' প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাত্র ১৭ বছর বয়সেই তাঁর বাবা চলে যান।'
এরপর তিনি জানান তাঁর বাবা একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। তিনি ছোটবেলায় তাঁর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতেন। সেই গল্প শুনতে শুনতেই তাঁর রাজনীতিতে আসা। মমতার কথায়, 'কীভাবে যে এলাম বুঝি না। কিন্তু সেই গল্পগুলো থেকেই শুরু। আমি সমাজনীতিতে বিশ্বাস করি। রাজনীতি কী এই নিয়ে তর্ক করতে চাই না। আমি সবার ভালো করতে চাই।'
কটাক্ষ নিয়ে কী বললেন মমতা?
এরপর এদিন তিনি একই সঙ্গে ট্রোলারদের একহাত নেন। মমতার কথায় আজকাল কে কী বলছেন বা সেটার প্রভাব কার উপর কী পড়ছে কেউ ভাবে না। তিনি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গল্প করতে গিয়ে জানান, 'কথা বলতে গিয়ে কেউ ভুল কিছু বললে সেটা নিয়ে ইস্যু করা হয়। সেটাকেই বড় করে দেখানো হয়। আমি আমার কথা বলছি না। কিন্তু এটা হওয়া উচিত না।'
দিদি নম্বর ওয়ানের বিশেষ পর্ব
ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচের ট্রুপ এদিন সবার আগে পারফর্ম করেন। তাঁদের দুর্গা স্তুতির মাধ্যমে শুরু হয় এদিনের পর্ব। এরপর একে একে অতিথিদের বরণ করে নেন রচনা। অতিথিরা অর্থাৎ ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন।
তারপরই অনুষ্ঠান শুরুর আগে হয় রাজ্য সঙ্গীত। ইন্দ্রনীল সেন, অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, রূপঙ্কর বাগচি, প্রমুখের সঙ্গে গলা মেলান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের দিদি নম্বর ওয়ান এপিসোডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রুটি বেলবেন। সঙ্গে আবাফা এদিন তাঁকে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পিন্দরে পলাশের বোন গানে নাচতে দেখা যাবে। বাদ দেবেন না কবিতা পাঠ করতে বা আঁকতে। অন্যদিকে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ও এদিন তাঁর নৃত্য পরিবেশন করবেন। উপস্থিত থাকবেন আরও দুই অতিথি শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরুন্ধতী হোম চৌধুরী।