ভালোবেসে দেবলীনা দত্ত বিয়ে করেছিলেন তথাগত মুখোপাধ্যায়কে। কিন্তু সেই বিয়ে সুখের হয়নি। তাই একটা সময় তাঁদের পথ আলাদা হয়, বিচ্ছেদ আসে। যদিও আইনত এখনও ডিভোর্স হয়নি তাঁদের। তবে তার মাঝেই আলোকবর্ষার প্রেমে পড়েন তথাগত। পাশাপাশি সৌম্য বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেবলীনার প্রেমের গুঞ্জনও শোনা যায়। যদিও নায়িকা দাবি করেন তাঁরা খুব ভালো বন্ধু। আর এই সব কিছুর মাঝেই নায়িকা জানালেন তিনি তথাগতর বর্তমান প্রেমিকা আলোকবর্ষাকে ভালোবাসেন!
আরও পড়ুন: মহালয়ার ভোরে 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' রূপে ফের দেখা যাবে পায়েলকে! জানেন কোন চ্যানেলে?
২০১২ সালে দেবলীনা দত্তের সঙ্গে সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তথাগত মুখোপাধ্যায়। এটা ছিল তথাগতর দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে তিনি অভিনেত্রী কন্যাকুমারী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছিলেন। পোষ্যদের নিয়ে ভরা সংসার ছিল তথাগত-দেবলীনার। তবে ২০২১ সালের শেষের দিকে ভাঙন ধরে তাঁদের সম্পর্কে। আর তাঁদের এই বিচ্ছেদকে কেন্দ্র করে বারবার কারণ হিসেবে উঠে আসে বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়ের নাম। বিবৃতির সঙ্গে তথাগতর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে শুরু হয় জোর চর্চা। যদিও তাঁরা বরাবরই বলে এসেছেন তাঁরা একে অপরের ভালো বন্ধু।
তবে এখনও তথাগতর সঙ্গে আইনি ভাবে বিচ্ছেদ হয়নি দেবলীনার, তার মাঝেই শোনা যায় ফের প্রেমে পড়েছেন তথাগত! সম্প্রতি তথাগতর পরিচালিত ছবি ‘রাস’ মুক্তি পেয়েছে। এই ছবিতে কাজ করতে গিয়েই আলোকবর্ষা বসুর প্রেমে পড়েন তথাগত। কিন্তু আলোকবর্ষাকে নিয়ে দেবলীনার মনোভাবটা ঠিক কেমন? এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন নায়িকা।
আরও পড়ুন: দুর্গার রূপে কোয়েল, অন্নপূর্ণা বেশে তৃণা! স্টার জলসার মহিষাসুরমর্দ্দিনীতে বড় চমক ‘গীতা’ হিয়ার
অ্যাডিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নায়িকা বলেন, ‘তথাগত যেটাতে খুশি আমিও সেটাতেই খুশি। তথাগত যাকে ভালোবাসে, আমিও তাঁকে ভালোবাসি। তাই আমার কিছু করার নেই। তথাগত যদি আলোকবর্ষাকে ভালোবাসে, আমিও আলোকবর্ষাকে ভালোবাসবোই। বাধ্য আমি ভালবাসতে। এরকম আর কী ব্যাপারটা। আমি তো ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না, যে ভালোবাসবো বা মন্দবাসবো। কিন্তু তথাগত যদি আলোকবর্ষাকে ভালোবাসে, আলোকবর্ষার সঙ্গে খুশি থাকে। সেই জন্য আমিও আলোকবর্ষাকে প্রচন্ড ভালোবাসি, কারণ ও তথাগতকেও খুশি রাখে।’
শোনা গিয়েছে, বিয়ের চিন্তাভাবনাও রয়েছে আলোকবর্ষা আর তথাগতর। যদিও তা এখনই নয়। তথার মতে, ‘আলোকবর্ষা এখনও অনেক ছোট। সামাজিক বৈবাহিক সম্পর্কের কথা, আগামীতে নিশ্চয়ই ভাবব…’! এমনকী, দেবলীনাকেও বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘গত তিন বছর ধরে ছাদ আলাদা হলেও, ডিভোর্সের দরকার পড়েনি কারও। এবার ও যদি আমার থেকে ডিভোর্স চায়, আমার কোনো সমস্যা নেই তাতে।’