সামনেই দুর্গাপুজো আসছে। চারি দিকে সাজো সাজো রব। আর দুর্গাপুজোর শুরু মানেই 'মহালয়া'র ভোর। প্রত্যেক বছরেই টেলিভিশনের নানা চ্যানেলে মহালয়ার ভোরে 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' অনুষ্ঠিত হয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়। মহিষাসুরমর্দ্দিনীর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বছর সান বাংলাতেও অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মহিষাসুরমর্দ্দিনী। তাদের অনুষ্ঠানের নাম ‘অকাল বোধন’। আর এই অনুষ্ঠানেই বহু বছর পর 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' রূপে ফের দেখা যাবে পায়েল দে-কে।
আরও পড়ুন: দুর্গার রূপে কোয়েল, অন্নপূর্ণা বেশে তৃণা! স্টার জলসার মহিষাসুরমর্দ্দিনীতে বড় চমক ‘গীতা’ হিয়ার
ছোট পর্দায় খুবই পরিচিত মুখ পায়েল দে। পায়েলকে অনেকবারই দুর্গা রূপে টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গিয়েছে। তবে মাঝে বেশ কিছু বছর দর্শকরা তাঁকে আর এই বেশে দেখেননি। এবার সান বাংলার হাত ধরে ফের পায়েলকে 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' রূপে দেখতে চলেছেন দর্শকরা।
পায়েলের কথায়, 'আমার সৌভাগ্য যে সান বাংলা আমায় মহিষাসুরমর্দ্দিনী করার সুযোগ দিয়েছে। প্রত্যেক নৃত্যশিল্পীর কাছে এটা একটা স্বপ্নপূরণের মতো। জীবনে সবাই চায় একবার মহিষাসুরমর্দ্দিনী করতে। যতদূর মনে পরে ২০১৭ সালে এক চ্যানেলের জন্য আমি শেষ মহিষাসুরমর্দ্দিনী করেছিলাম। মাঝে অনেকটা বছর বিরতি। এত বছর পর আবার আমায় সেই সুযোগ করে দেবার জন্য সান বাংলাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের জোর কদমে রিহার্সাল চলছে। 'অকাল বোধনে' এর চিত্রনাট্যে পৌরাণিক কাহিনির সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধনে করা হয়েছে। এত বছর পর মহিষাসুরমর্দ্দিনী করতে পেরে আমার খুবই নস্ট্যালজিক লাগছে।'
আরও পড়ুন: 'আমার কোল শূন্য…', অহনার সন্তান জন্মের খবরে যা বললেন মা চাঁদনী
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য পায়েলকে বর্তমানে সান বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে’তে 'আলোর' ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই 'আলো' চরিত্রটি দর্শকদের কাছে খুবই প্রিয় হয়ে উঠেছে।
'অকাল বোধন'-এর গল্প
ত্রেতা যুগে রামচন্দ্র আর রাবণের যুদ্ধে যখন দেবীর আশীর্বাদে রাবণ প্রায় যুদ্ধ জয়ের দিকে এগোচ্ছেন, তখন ব্রহ্মার পরামর্শে শ্রীরামচন্দ্র দেবী দুর্গার অকাল বোধন করে, আরাধনা শুরু করেন। দেবী ভক্তের ভক্তি পরীক্ষা করার জন্য সন্ধি পুজোর একটা পদ্ম লুকিয়ে রাখেন। পুজোয় পদ্ম কম দেখে শ্রী রামচন্দ্র নিজের চোখ তীরবিদ্ধ করে অর্পণ করতে চাইলে, দেবী খুশি হয়ে পদ্ম ফুল ফিরিয়ে দেন এবং শ্রীরামকে যুদ্ধ জয়ের আশীর্বাদ করেন। হনুমান শ্রীরামচন্দ্রের কাছে দেবীর মহিমা জানতে চাইলে রামচন্দ্র তাঁদের মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেবীর মাহাত্ম্য বর্ণনা করেন।