প্রয়াত সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী সোনামন মুখোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০। শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্কে নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বহু বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ছিল আরও নানারকম শারীরিক সমস্যা। জানা গেছে,শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে তাঁর। সেইসময় বাড়িতেই ছিলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সহ তাঁর পরিবারের আর বাকি সদস্যরাও। দ্রুত তোড়জোড় শুরু হয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার। এই সামান্য সময়ের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গেছে, কেওড়াতলা মহাশ্মশানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তাঁর।সোনামন মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, 'বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সহধর্মিণী সোনামন মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ রাতে কলকাতায় প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে আশি- উত্তীর্ণা, সাহিত্য-অনুরাগিণী ও সাহিত্যব্রতী সোনামন মুখোপাধ্যায় সাহিত্যের রসাস্বাদনে পারঙ্গম ছিলেন। তিনি নিজেও সাহিত্যের আসরে স্বকীয় স্বাক্ষর রেখেছেন। এক সময় শিক্ষকতা ও সংগীতচর্চার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। আমার সঙ্গে তাঁর মধুর সম্পর্ক ছিল। বার্তা শেষে তাঁর সংযোজন, 'তাঁর প্রয়াণ শিল্প ও সংস্কৃতি জগতে এক বিশেষ ক্ষতি। আমি শীর্ষেন্দুদাসহ সোনামন মুখোপাধ্যায়ের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।' প্রসঙ্গত, বিয়ের পর স্ত্রীয়ের সোনামন মুখোপাধ্যায় নাম শীর্ষেন্দুবাবুরই দেওয়া। তাঁদের ৫০ বছরেরও ওপর দাম্পত্য জীবন শুরু করার আগে বছর চারেক সম্পর্কেও ছিলেন দু'জন। তাঁদের সেই সম্পর্ক নিয়ে সোনামন মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির তরফে আপত্তি উঠলেও রুখে দাঁড়িয়েছিলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ভালোবাসার মানুষ। এরপর বিয়ে। শিলিগুড়ির বাড়িতে সাহিত্যিক স্বামীর সঙ্গে প্রথমবারের জন্য সংসার পেতেছিলেন সোনামন মুখোপাধ্যায়।