সদ্য দেখানো হয়েছিল যে ‘কমলিনী’র মৃত স্বামী ‘চন্দ্র’ ফিরে এসেছে। আর সে ফিরে আসাতে 'কমলিনী'র বাপের বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ির সকলে চাইছে যেন ‘কমলিনী’ আবার নতুন করে ‘চন্দ্র’র সঙ্গে সংসার বাঁধে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বেকে বসে ‘কমলিনী’। তবে কেন সে তার স্বামীকে আর গ্রহণ করতে চায় না তা নিয়ে যখন প্রশ্ন ওঠে তখন সকলের সামনে একটা চিঠি এনে হাজির করে সে। এই চিঠি ‘কমলিনী’ তার স্বামী বাড়ি ছাড়ার পর হাতে পেয়েছিল। কিন্তু তারপর ‘চন্দ্র’র মৃত্যু সংবাদ আসার ফলে সে ওই চিঠি গোপন করে রাখে।
আরও পড়ুন: বিয়ের পর মল্লিকার স্বামীর প্রথম জন্মদিন! স্ত্রী নয়, প্রথম কেক কাকে খাওয়ালেন রুদ্রজিৎ?
কারণ 'কমলিনী' তার মৃত স্বামীর চরিত্রে কোনও দাগ লাগুগ তা চায়নি। কিন্তু ‘চন্দ্র’র হঠাৎ আগমন, আর মিথ্যে, ‘কমলিনী’কে বাধ্য করে সেই চিঠি পরিবারের সকলের সামনে আনতে, সেই চিঠি থেকেই জানা যায় ‘কমলিনী’র সঙ্গে বিয়ের পরও ‘চন্দ্র’র জীবনে অন্য নারী ছিল। আর সেই এই চিঠি ‘চন্দ্র’-এর উদ্দেশ্যে পাঠায়। চিঠি সকলের সামনে পড়ার পর কমলিনী তাঁর সন্দেহের কথাও সকলকে জানায় যে, ‘চন্দ্র’ মাঝের যে ক'বছর তাদের সঙ্গে ছিল না সেই সময় সে ওই মহিলার সঙ্গে সংসার বেঁধে ছিল।
কিন্তু ‘চন্দ্র’ সেই চিঠি সাংকেতিক চিঠি বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আর তার পরিবারও ‘কমলিনী’কেই নানা ভাবে দোষারোপ করতে থাকে। এমনি কী ‘স্বতন্ত্র’ও নিজে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। সব মিলিয়ে কোনঠাসা হয়ে পড়ে ‘কমলিনী’। ছেলে-মেয়ে এমন কী ননদ ‘কুর্চি’কেও সেই ভাবে পাশে পায় না। কিন্তু এই বিপদেও 'মিটিল' ‘কমলিনী’র সঙ্গ ছাড়ে না, আর সে পাশে পায় তার কাকাকে। এই তিনজন মিলেই ‘চন্দ্র’র উপর সন্দেহ করে নানা খোঁজ খবর করতে থাকে তাকে মিথ্যাবাদী প্রমাণ করার জন্য। অন্যদিকে, চন্দ্র যে ঠিক বলছে, তা সে বার বার দাবি করলে ‘কমলিনী’ তাকে বলে প্রমাণ দেওয়ার জন্য। আর এই সবের মাঝেই এবার এসে হাজির ‘চন্দ্র’র দ্বিতীয় স্ত্রী ও মেয়ে?
আরও পড়ুন: ১৯৯০ সালের এই ছবি অমিতাভ, সানি, অনিলদের সিনেমাকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল! আয় করেছিল ২০ কোটি টাকা