মল্লিকা জীবনে অনেক কঠিন সময় পেরিয়ে ভালোবেসে রুদ্রজিতের হাত ধরেছিলেন। তারপর একসঙ্গে কাটানো একগুচ্ছ সুন্দর মুহূর্ত, আর তার মাঝেই আরও একটা সুন্দর মুহূর্ত এসে জুড়ে গেল। কারণ? রুদ্রজিতের জন্মদিন। এটাই বিয়ের পর মল্লিকার স্বামীর প্রথম জন্মদিন। তাই উদযাপনটাও ছিল নজরকাড়া।
আরও পড়ুন: ১৯৯০ সালের এই ছবি অমিতাভ, সানি, অনিলদের সিনেমাকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল! আয় করেছিল ২০ কোটি টাকা
মেয়ে গরিমাকে পাশে নিয়েই জন্মদিনের কেক কাটলেন রুদ্রজিৎ। অ্যাডিশনে শেয়ার করা একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে রুদ্রজিৎ চারটি কেক কেটেছেন। আর তাঁর একপাশে স্ত্রী মল্লিকা আর অন্যপাশে মেয়ে গরিমা ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাড়ির জগন্নাথ পুজোয় শাঁখ বাজালেন কাঞ্চন! কী কী ভোগ সাজিয়ে নিবেদন করলেন শ্রীময়ী?
ভিডিয়োয় রংমিলান্তিতে ধরা পড়েছিলেন মল্লিকা-রুদ্রজিৎ। অভিনেত্রীর পরনে ছিল কালোর উপর সাদা ফ্লোরাল প্রিন্টের পোশাক। অন্যদিকে, রুদ্রজিৎ পরে ছিলেন কালো রঙের টি-শার্ট। অন্যদিকে, মেয়ে গরিমার পরনে ছিল ফ্লোরাল প্রিন্টের পোশাক।
আরও পড়ুন: 'বাবা থেকেও একা মা হওয়া…', গর্ভবতী অহনার পাশে না থাকা নিয়ে কটাক্ষের জবাব চাঁদনির?
ভিডিয়োয় দেখা যায় রুদ্রজিৎ মল্লিকার নিয়ে আসা বাতিতে ফুঁ দিয়ে কেক কাটা শুরু করেন। মল্লিকা-গরিমা সহ তাঁর পরিবারের সকলে তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছায়, 'হ্যাপি বার্থ ডে…' গানে ভরিয়ে দেন। তারপর কেক কেটেই প্রথমে গরিমাকে খাইয়ে দেন রুদ্রজিৎ। এরপর মা ও স্ত্রী মল্লিকাকে কেক খাওয়ান। মল্লিকাও রুদ্রজিৎকে কেক খাইয়ে দেন। সব মিলিয়ে বেশ জমজমাট হয় তাঁর জন্মদিনের উদযাপন।
প্রসঙ্গত, মেয়ের বয়স যখন ৯ বছর, তখন স্বামীর পরকীয়ার জন্য ঘরছাড়া হয়েছিলেন মল্লিকা। একা হাতেই মেয়েকে মানুষ করেছেন অভিনেত্রী। মাঝেও ফের একবার জড়িয়ে ছিলেন সম্পর্কে। কিন্তু সেখানেও এসেছিল বিচ্ছেদ, জুটে ছিল লাঞ্ছনা। তারপর অবশেষে ১৭ বছরের অদ্রিজা (গরিমা) নিজে দায়িত্ব নিয়ে মায়ের জীবন গুছিয়ে দেয়। জীবনে আসেন রুদ্রজিৎ।
চলতি বছরের ২৪শে জানুয়ারি ধুমধাম করে দ্বিতীয় বিয়ে সারেন ‘বুলেট সরোজিনী’ অভিনেত্রী মল্লিকা। তাঁর স্বামী রুদ্রজিৎ পেশায় চিকিৎসক। ২৬শে জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দু'জনের রিসেপশন। বিয়ের পর বৌভাতের আসরেও বাবা-মা'র মধ্যমণি হয়েছিল তাঁদের ১৭ বছরের মেয়ে। মেয়েকে ঘিরেই এতদিন ছিল মল্লিকার জগৎ। তারপর আসেন রুদ্রজিৎ। বর্তমানে তাঁদের সুখের সংসার। তাঁরা সকলকে মিলে খুব সম্প্রতি বেনারসেও ঘুরে এসেছেন।