শুক্রবার ছিল রথযাত্রা। এই উৎসবে প্রভু জগন্নাথের বিশেষ ভাবে আরাধনা করা হয়। কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজও এই সময় জগন্নাথদেবের পুজো করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাড়িতেই প্রভু জগন্নাথের পুজো করলেন তাঁরা। শুধু কী তাই নিজে হাতে ভোগ রেঁধে ভগবানকে নিবেদন করলেন শ্রীময়ী।
আরও পড়ুন: বাড়িতে পৌঁছল শেফালির মরদেহ! নায়িকাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির মাহিরা, আরতিরা
শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে তাঁদের বাড়ির পুজোর নানা মুহূর্ত ভাগ করে নেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। ভিডিয়োর শুরুতেই দেখা যায় প্রভু জগন্নাথের জন্য ভোগ রান্না করছেন শ্রীময়ী। ভোগ রাঁধতে রাঁধতে তিনি বলেও দেন যে, তিনি কী কী রান্না করছেন। আর এই সবের মাঝেই মেয়ে কৃষভিকে নিয়ে পায়েস রান্না করতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। তারপরই ভিডিয়োয় কাঞ্চনকে নৈবেদ্য ও ধুনুচি সাজাতে দেখা যায়। এরপর রথ সাজাতেও দেখা যায়। তারপর একে একে নিজে হাতে রান্না করা সব ভোগ মাটির থালা বাটিতে সাজিয়ে ভগবানকে নিবেদন করেন শ্রীময়ী।
তিনি জানান খিচুড়ি, পাঁচ রকমের ভাজা, সাদা ভাত, ডাল, শুক্তো, লাবড়া, চাটনি, পায়েস এই সব ভোগ হিসেবে আয়োজন করেছেন। এছাড়াও আম, কাঁঠাল-সহ নানা রকমের ফল, মিষ্টি, চকোলেট দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছেন নৈবেদ্য। তারপরই ভিডিয়োয় পুজো ও আরতি হতে দেখা যায়। সেখানেই শ্রীময়ীকে কাঁসর ঘণ্টা ও কাঞ্চনকে শাঁখ বাজাতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: 'বাবা থেকেও একা মা হওয়া…', গর্ভবতী অহনার পাশে না থাকা নিয়ে কটাক্ষের জবাব চাঁদনির?
প্রসঙ্গত, স্নানযাত্রার সময় সপরিবারে দীঘার নব নির্মিত জগন্নাথ হাজির ছিলেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টোরাজ ও অভিনেতা-তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। সঙ্গে দেখা মিলে ছিল তাঁদের ছোট্ট মেয়ে কৃষভিরও।
লাল-সাদা শাড়িতে জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে দেখা যায় শ্রীময়ীকে। ছোট্ট কৃষভির গলাতে ছিল রজনীগন্ধার মালা। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি পরে হাজির হয়েছিলেন কাঞ্চন। দীঘর জগন্নাথধামের একগুচ্ছ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেন তাঁরা।
এর আগে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিন হাজির হতে পারেননি কাঞ্চন-শ্রীময়ী। সেদিনই ছিল কৃষভির মুখে ভাত। আর তাই স্নানযাত্রাতেই তাঁরা সেখানে সপরিবারে যান।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আইনি বিয়ে করেন কাঞ্চন ও শ্রীময়ী। এরপর মার্চে সামাজিক বিয়ে। তারপর নভেম্বর মাসে জন্ম হয় কৃষভির। একের পর এক প্রোজেক্টে কাজ করে চলেছেন কাঞ্চন। সঙ্গে বিধায়কের ডিউটি তো রয়েইছে। তবে শ্রীময়ীকে বুলেট সরোজিনী মেগাতে দেখা গেলেও পরে মাঝপথেই তা ছেড়ে দেন তিনি।