শুক্রবার রাতে শেফালি জরিওয়ালার আকস্মিক মৃত্যুর পর ইন্ডাস্ট্রিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার শোকার্ত স্বামী পরাগ ত্যাগীকে সম্প্রতি তাদের পোষা কুকুর সিম্বুকে নিয়ে হাঁটতে যেতে দেখা গেছে। এই মুহুর্তের একটি ভিডিয়ো অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছিল, যার ফলে কেউ কেউ পরাগের অন্যায়ভাবে সমালোচনা করেছিলেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন যে তিনি সত্যিই তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুতে প্রভাবিত হয়েছিলেন কিনা। এবার শেফালির সঙ্গে বিগ বস ১৩-র বাড়ি ভাগাভাগি করে নেওয়া অভিনেতা রেশমি দেশাই পরাগের পাশে দাঁড়িয়ে এই বিতর্কের জবাব দিয়েছেন।
পরাগ ত্যাগীর জন্য কী সাফাই দিলেন রেশমি দেশাই?
শনিবার ইনস্টাগ্রামে পরাগের কুকুরকে হাঁটানোর ভিডিয়োটি পুনরায় শেয়ার করে লিখেছেন, 'আরে ভাই, বিচারের পরিবর্তে দয়া এবং সহানুভূতি ছড়িয়ে দিন! সিম্বা কেবল একটি পোষা প্রাণীর চেয়ে বেশি ছিল - সে শেফালির প্রিয় পুত্র ছিল। তাঁর আকস্মিক প্রয়াণে একটি বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে এবং আমি মিডিয়াকে পরিবারের শোককে সম্মান জানাতে এবং এই কঠিন সময়ে তাদের জায়গা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। আসুন আমরা সহানুভূতি এবং সংবেদনশীলতা দেখাই। বিগ বস ১৩-তে শেফালি ও রেশমি একে অপরের বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

ভিডিয়োটি পরাগের মুম্বইয়ের বাড়ির বাইরে তোলা হয়েছে শনিবার সকালে। এতে পরাগকে তাঁর কুকুরকে নিয়ে হাঁটতে যেতে এবং মিডিয়াকে এড়িয়ে চলতে দেখা গেছে। এটাও মনে হয়েছিল যে পরাগ একটি ফটো ফ্রেম বহন করছিল, সম্ভবত শেফালির, যা মুহুর্তটিকে আরও আবেগময় করে তুলেছিল। অনেকে পরাগকে প্রশ্ন করে লিখেছেন, 'কুকুরটিকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার কি দরকার ছিল? ' আরেকজন লিখেছেন, 'ওকে এত রিল্যাক্স লাগছে কেন? ' আরেকজন জিজ্ঞেস করল, 'তার কি দুঃখ নেই?
শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যু নিয়ে যাবতীয় ঘটনা
শুক্রবার রাতে পরাগ শেফালিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এর আগে হাসপাতালের রিসেপশন স্টাফের এক সদস্যও জানিয়েছিলেন, তাঁকে যখন হাসপাতালে আনা হয়, ততক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। শেফালিকে যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখান থেকে বেরিয়ে এসে ধরা পড়ে দৃশ্যত বিপর্যস্ত পরাগ। শেফালির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে পাঠিয়েছিল মুম্বই পুলিশ। প্রাথমিকভাবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেফালির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হলেও মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে গাড়িতে করে বেরিয়ে আসার সময় শেফালির মা সুনীতার অঝোরে কান্নার একটি ভিডিয়োও সামনে এসেছে। একজন মহিলা তাঁকে জড়িয়ে ধরে তার কাঁধে মাথা রাখেন এবং অন্য একজন মহিলা তার পাশে বসেছিলেন। শেফালির আকস্মিক মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শেফালির ইন্ডাস্ট্রির অনেক বন্ধুও।