কসবাকাণ্ডে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ। কলকাতা থেকে বাঁকুড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পথে নামতে শুরু করেছে। এসবের মধ্য়েই কলকাতায় প্রতিবাদে নেমেছিলেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। সেই প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্যরা। সুকান্ত মজুমদার, জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় সহ এক ঝাঁক বিজেপি নেতাকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিকে রাত পর্যন্ত বাঁকুড়া, বালুরঘাট সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে বিক্ষোভ। তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। লাল বাজারের সামনেও চলছে বিক্ষোভ। রাতে লালবাজারে সামনে শুরু হয়েছে চরম উত্তেজনা। আধিকারিকরা ঘোষণা করেছেন লালবাজারের সামনে জড়ো হবেন না সরে যান।
সূত্রের খবর, রাত পর্যন্ত লালবাজারেই রয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, বিজেপির রাজ্য সভাপতি ইতিমধ্য়েই জানিয়েছেন, বারবার আমায় নিয়ে এসে বেলবন্ডে সই করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবার আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি মেয়েদের সঙ্গে যা ঘটেছে তার একটা প্রতিবাদ হওয়া দরকার। তাই যদি আমায় সারা রাত জেলে থাকতে হয় থাকব।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই শুরু হয়েছে প্রতিবাদ আন্দোলন। কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে কলেজের মধ্য়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্য়েই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে সেই ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। প্রসঙ্গত গড়িয়াহাট এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আটক করা হয় সুকান্তকে।
এসবের মধ্য়েই কসবা নিয়ে একের পর এক তৃণমূল নেতা বেফাঁস মন্তব্য করতে শুরু করেছেন।
সেই তালিকায় যথারীতি রয়েছে বিধায়ক মদন মিত্র। এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মদন মিত্র বলেন, ঘটনা যেটা হয়েছে এটা নিন্দার ভাষা নেই। এটা সবথেকে নোংরা কাজ। কিন্তু কসবার ঘটনায় একটা বার্তা এসেছে স্টুডেন্টদের কাছে যে পরিচিত কেউ যদি ডাকেন আপনাকে কলেজ যখন বন্ধ তখন আপনি যাবেন না, এতে আপনার ভালো হবে না। ওই মেয়েটা যদি না যেত তাহলে এমন ঘটনা হত না। যদি যাওয়ার সময় কাউকে বলে যেতেন বা সঙ্গীদের নিয়ে যেতেন তাহলে এই ঘটনা হত না। আমরা যেটা দেখছি যে এটা করেছে সেটা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে। তবে মমতা ব্যানার্জি বলেছেন কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। …তবে এটা খুব দুঃখের ঘটনা। দেখুন তৃণমূল কংগ্রেস এত বড় পার্টি যে কেউ না কেউ তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কিত। কেউ সামনে থেকে কেউ পাশ থেকে, কেউ পেছন থেকে।
তবে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা মদন মিত্রের বক্তব্যকে সমর্থন করে না।