অঞ্জনা বসু মানেই দাপুটে, গম্ভীর কোনও চরিত্র। ছোট পর্দা হোক বা বড় পর্দা অধিকাংশ সময়ই দর্শক তাঁকে আভিজাত্যপূর্ণ, গম্ভীর বা ব্যক্তিত্বময়ী কোনও চরিত্রে দেখেছেন। কিন্তু জানেন কি এ হেন অভিনেত্রীকেও একাধিকবার কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রাত কাটানোর অফার নিয়ে কী বললেন অঞ্জনা বসু?
আরও পড়ুন: 'ধর্মের নামে বিষ ছড়ানো হচ্ছে', নাম না করে বিজেপিকে বিঁধলেন দেব? জগন্নাথদেবের কাছে কী চাইলেন?
কী জানিয়েছেন অঞ্জনা বসু?
সম্প্রতি আনন্দবাজারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অঞ্জনা টলিউডে কাজ করতে এসে কুপ্রস্তাব প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। একটি ঘটনার স্মৃতি হাতড়ে বলেন, 'রামকৃষ্ণ ও সারদা সিরিয়ালে যখন সুযোগ পাই, কাজ পাকা পাওয়ার পর ওই ধারাবাহিকের এক্সিকিউটিভ প্রযোজক আমায় ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন তাঁর সঙ্গে রাত না কাটালে আমি নাকি সেই ধারাবাহিক থেকে বাদ পড়ব।' অঞ্জনা জানান তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে তিনি এটা পারবেন না। প্রয়োজনে তাঁরা তাঁকে বাদ দিতে পারেন। যদিও তেমন কিছু ঘটেনি। সেই ধারাবাহিকের জন্য তাঁকে পরিচালক নির্বাচন করেছিলেন। যদিও আতঙ্কে থাকতেন অঞ্জনা। সেই স্মৃতি হাতড়ে বলেন, 'ওঁকে ফোনে জবাব দেওয়ার পর গোটা রাত ছেলেকে জড়িয়ে কেঁদেছিলাম। ওই লোকটার ভয়ে গ্রিনরুমে সারাক্ষণ দরজা বন্ধ করে থাকতাম। ওঁর কোনও কাজ আমি করিনি। তবে অনেক পর কারও সঙ্গে রাত না কাটিয়ে যে টলিউডে কাজ করা যায় সেটা বোঝাতে ওঁর একটি বিজ্ঞাপনে দ্বিগুণ টাকা নিয়ে কাজ করেছিলাম।'
অভিনেত্রী জানান সেই বিজ্ঞাপনের পারিশ্রমিক তিনি গোটা শরীরে বিছিয়ে ঘুমিয়েছিলেন অতীতের সেই দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে। শান্তি পেতে। না, কেবল এই ঘটনা নয়। এক পরিচালকের থেকেও এমন অফার পেয়েছেন তিনি।
অঞ্জনা জানান, 'এক নামী পরিচালক তাঁর এখন অনেক বয়স, তিনি তাঁর ছবিতে আমায় নিয়ে বলেছিলেন তাঁর অফিসে যেতে, তাঁকে সঙ্গ দিতে। জানিয়েছিলেন সেই সময়ের অনেক নামী অভিনেত্রীরা নাকি যান।' অভিনেত্রী জানান তিনি জানিয়ে দেন তিনি যাবেন না। এতে যদি তাঁকে বাদ দেওয়া হয় তাও ভালো। তাঁর কথায়, 'কাজ পেতে কখনও আপোস করিনি।'
প্রসঙ্গত অঞ্জনা বসুকে বর্তমানে শ্রীমান ভার্সেস শ্রীমতী ছবিতে দেখা যাচ্ছে। ১ মে মুক্তি পেল এই ছবিটি। ভারতের দীর্ঘ সময় ধরে চলা ডিভোর্স কেসের আধারে নির্মিত হয়েছে এটি। মুখ্য ভূমিকায় আছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অঞ্জনা বসু এবং অঞ্জন দত্ত। এছাড়া অঞ্জনা বসুকে আগামীতে ছোট পর্দাতেও দেখা যাবে। তিনি কুসুম ধারাবাহিকের হাত ধরে ছোট পর্দায় ফিরছেন।