২০০৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জি টিভির সারেগামাপা এবং জি বাংলার সারেগামাপা জিতে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন অনীক ধর। এরপরেই তাঁর শুরু হয় সঙ্গীত জীবনের জয়যাত্রা। অ্যালবাম থেকে শুরু করে সিনেমার প্লে ব্যাক সিঙ্গার, সব ক্ষেত্রেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বারবার।
২০১৪ সালে দেবলীনাকে বিয়ে করে নিজের সংসারধর্ম শুরু করেন অনীক। ২০১৮ সালে কন্যা সন্তান আদ্যা এবং ২০২৩ সালে পুত্র সন্তান আরভকে জন্ম দেন দেবলীনা। মেয়ে এখন বেশ অনেকটা বড় হয়ে গেলেও ছেলে এখন নিতান্তই শিশু। তাই বাইরে বের হলেই ছেলেকে সব সময় সঙ্গে রাখেন দেবলীনা।
আরও পড়ুন: লটারি জিতেও লক্ষ্মীলাভ হল না লক্ষ্মীর, Zee 5 নিয়ে আসছে নতুন মাইক্রো সিরিজ
আরও পড়ুন: অথৈ জলে ‘দৃশ্যম ৩’, ছবির পরিচালককে আইনি হুমকি জিতুর
কন্যা সন্তান যেমন বাবার ভীষণ প্রিয় তেমন অন্যদিকে ছেলেরা মায়ের খুব কাছের হয়। একটা সময় স্বামীর থেকেও সন্তান প্রিয় হয়ে ওঠে মায়েদের কাছে। এখন তেমনই অবস্থা অনীকের। ছেলে সঙ্গে থাকলে বউকে একেবারেই কাছে পান না তিনি, সব সময় গোবেচারা মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সামনে।
যদিও মা - ছেলের এই সুন্দর মুহূর্ত দেখার জন্যই অপেক্ষা করে থাকেন কত বাবা। গোটা ব্যাপারটি নিয়ে কপট রাগ দেখালেও অনীক যে এই সমস্ত মুহূর্ত বেশ ভালই উপভোগ করেন তার প্রমান অনীকের নতুন দুটি ছবি এবং ক্যাপশন।
সম্প্রতি যে দুটি ছবি অনীক পোস্ট করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রথম ছবিতে ছেলে মাকে গোলাপ ফুল দিচ্ছে। পিছনে কপট রাগ দেখাচ্ছেন অনীক। দ্বিতীয় ছবিতে শুধুই স্ত্রীর সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায় তাঁকে। ভাবটা যেন এমন, এই তো এবার সুযোগ পেয়েছি একসঙ্গে ছবি তোলার।
ক্যাপশনেও ফুটে উঠেছে অনীকের দুষ্টুমি। তিনি লেখেন, ‘ওরে তোর তো মা কিন্তু আমার তো বউ। সারাদিন চিপকে আছে। প্রথমবার জীবনে হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছি না।’ ছবিগুলির সঙ্গে যে গানটি তিনি দিয়েছেন, সেটাও বেশ প্রাসঙ্গিক।
আরও পড়ুন: 'ওকে দেখলে মুরগিও...', ইসকনের রেস্তোরাঁয় যুবকের আমিষ খাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ বাদশা
আরও পড়ুন: অবশেষে ছোটবেলার ইচ্ছে পূরণ হল রূপসার, সায়নদীপ স্ত্রীকে দিলেন কোন বিশেষ উপহার?
‘দিল হ্যায় কি মানতা নেহি’ ছবির ‘তু পেয়ার হে কিসি অর কা’ গানটি নেপথ্যে রেখেছেন গায়ক। এই গানটি মূলত দুই প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে আশা তৃতীয় ব্যক্তিকে উল্লেখ করে তৈরি করা হয়েছিল। এখানে ঐ তৃতীয় ব্যক্তি যে অনীকের ছেলে, সেটা আর বুঝতে বাকি নেই কারও।
অনীকের এই মজার পোস্ট দেখে হেসে খুন নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা। কেউ লিখেছেন, একদম ঠিকঠাক গান দিয়েছেন দাদা। অন্য একজন লিখেছেন, সত্যি ভীষণ কষ্ট হয়!! তৃতীয় একজন লিখেছেন, এটা তো প্রত্যেক ঘরের ব্যাপার।