বড় পর্দায় ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২’ মুক্তি পাওয়ার পর সারা দেশ জুড়ে ছবিটি নিয়ে বেশ প্রশংসা শুনতে পাওয়া গিয়েছিল। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের উপর নির্ভর করে বানানো এই গল্পটি ছিল একটি কোর্ট রুম ড্রামা। তবে এবার ওটিটি প্লাটফর্মে ছবিটি মুক্তি পেতেই তৈরি হল একাধিক জটিলতা। সিনেমায় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম ভুল বলা হয়েছে এই পরিপ্রেক্ষিতে একটি পোস্ট করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন: ছবি মুক্তির আগেই ১২০ কোটি টাকা ক্ষতি, আমির নিলেন কোন বড় সিদ্ধান্ত?
আরও পড়ুন: 'আমির ১০ বার ফোন করে আমায়…',বন্ধুর আবদার রাখতে কী করলেন শাহরুখ?
সম্প্রতি X হ্যান্ডেলে অক্ষয় কুমারের সিনেমার একটি ছোট্ট ক্লিপিং পোস্ট করে কুণাল লেখেন, ‘বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম পাল্টে ব্যবহার করার জন্য আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই সিনেমায় শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে দেখানো হয়েছে ক্ষুদিরাম সিং হিসেবে। শুধু তাই নয়, বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে দেখানো হয়েছে বীরেন্দ্র কুমার হিসেবে। এটি শুধু স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান নয় এটি সারা বাংলার অপমান।’
তবে শুধু কুণাল ঘোষ নন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে অক্ষয়ের ছবি প্রসঙ্গে বলেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালি বিপ্লবীদের ভূমিকাকে খাটো করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিজেপি বাংলা এবং আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে লক্ষ্য করে এমন কাজ করছে।’
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই যুক্তি মানতে নারাজ বিজেপি। রাজ্যসভার সংসদ শমীক ভট্টাচার্য এই পুরো ব্যাপারটিকে ‘অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সিনেমায় প্রায়ই চরিত্রের নাম পরিবর্তন করা হয়। এই ব্যাপারটিকে অন্য চোখে নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।’
তবে শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, এই গোটা ব্যাপারটিতে সরব হয়েছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং ঋত্বিক চক্রবর্তী। শুক্রবার সকালে ঋত্বিক একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘শুনলাম ছাপরি চ্যাপ্টার গু বলে একটি হিন্দি সিনেমায় নাকি ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। অবশ্য হিন্দি সিনেমার থেকে ইতিহাস শেখা উচিত নয়। ওরা কিন্তু যে কোনদিন ছাপ মারা বিশ্বাসঘাতককে বীর বলে চালিয়ে দেবে।’
আরও পড়ুন: 'হারিয়ে যেতে চাই…', কেন এমন কথা বললেন অভিষেক? কী হল হঠাৎ?
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ‘কমল’, থাকবে প্রধানমন্ত্রীর উক্তি, আমিরের ছবিতে কী কী বদল সেন্সর বোর্ডের
পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ক্ষুদিরাম সিং? এরপর কি? মোহনদাস করমচাঁদ মুখোপাধ্যায়? জহরলাল দস্তিদার? লালা লাজপত লাহা? অত্যন্ত হতাশা জনক গবেষণা।’ এই গোটা ব্যাপারটিতে বারবার অক্ষয়কে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হলেও অভিনেতা বা পরিচালকের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।