সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২’। সিনেমাটি দেখে অক্ষয়, মাধবন এবং অনন্যার অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন দর্শকরা। গত ১৮ এপ্রিল মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমা ইতিমধ্যেই ৫০.২৫ কোটি টাকা আয় করেছে। এই আনন্দের মাঝেও নিজের কোন দুঃখের কথা সামনে নিয়ে এলেন অভিনেতা।
সম্প্রতি স্ক্রিনের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে অক্ষয় তাঁর সিনেমা, দর্শকদের সমালোচনা এবং একজন অভিনেতা হিসেবে তাঁর সব থেকে ভয় কী, সেই বিষয়ে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন কীভাবে তাঁর অভিনীত সিনেমা মানুষের মনে ছাপ ফেলে দিয়েছে বারবার।
বিগত বেশ কয়েক বছরে অক্ষয়ের বেশ কিছু সিনেমা যেমন টয়লেট, প্যাডম্যান, এই সিনেমাগুলি মানুষের মনে প্রভাব ফেলেছিল। তিনি তাতে কতটা গর্বিত? এই প্রশ্নের উত্তরে অক্ষয় বলেন, ‘সত্যি আমার ভীষণ গর্ব অনুভব হয়। টয়লেট এ প্রেম কথা, সিনেমাটি মুক্তির পর বহু মানুষ বাড়িতে শৌচালয় তৈরি করার বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দিয়েছিল।’
আরও পড়ুন: প্রথমবার বিহারে শ্যুটিং পঙ্কজের, আপ্লুত অভিনেতা বললেন, 'মনে হচ্ছে যেন বাড়িতেই...'
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার মারণ রোগে আক্রান্ত, চিকিৎসার মধ্যেই নতুন আপডেট দিলেন তাহিরা
তিনি বলেন, ‘শুধু ‘টয়লেট’ কেন, ‘প্যাডম্যান’ মুক্তি পাওয়ার পর মানুষ বাড়িতে পিরিয়ড নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে শুরু করে। মেয়েরা বাবার সঙ্গে পিরিয়ড, স্যানিটারি ন্যাপকিন, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে খোলাখুলি কথা বলা শুরু করে। ‘ও মাই গড ২’ ছবিতেও যৌন শিক্ষার বিষয় নিয়ে সচেতনতা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল মানুষের মধ্যে। যখন দর্শকদের এই সিনেমাগুলির গল্প পছন্দ হয় তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই একজন অভিনেতা হিসেবে আমারও ভালো লাগে।’
তবে শুধু প্রশংসা নয়, মাঝেমধ্যেই সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় অক্ষয়কে। দর্শকরা যখন সমালোচনা করেন তখন কেমন অনুভুতি হয় অভিনেতার? জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন, ‘শ্রোতারাই হলেন আসল সমালোচক। অর্থের বিনিময়ে তাঁরা একটি সিনেমা দেখতে আসেন। যখন একটি সিনেমা দেখে তাঁরা হাততালি দেন তখন যেমন আমাদের ভালো লাগে ঠিক তেমনি তাঁরা যখন সমালোচনা করেন, তখন সেটি থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: 'ওঁর মতো কেউ হবে না...', নানার সঙ্গে কাটানো কোন মজার মুহূর্ত তুলে ধরলেন পরেশ?
আরও পড়ুন: ফের বড় পর্দায় বিক্রান্ত, 'হোয়াইট' ছবিতে ফুটে উঠবে কোন অজানা গল্প?
বিভিন্ন সিনেমায় বিভিন্ন রকম চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় অক্ষয়কে। অক্ষয়ের এই চরিত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রেও কি দর্শকদের ভূমিকা রয়েছে? প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতা বলেন, ‘স্ক্রিপ্ট হোক বা ভূমিকা নির্বাচন, সব ক্ষেত্রেই দর্শকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অনেক সময় এমনও হয়েছে, মানুষ আমাকে বলেছেন কিছু আলাদা করতে। আমিও সেই চেষ্টাই করেছি। সমালোচনা মাঝে মধ্যে কষ্ট দেয় অবশ্যই কিন্তু এই সমালোচনাই আপনাকে আরও ভালো অভিনেতা হতে সাহায্য করে।’
৫৭ বছর বয়সী অক্ষয় অন্যান্য সমবয়সী অভিনেতাদের থেকে অনেক বেশি ফিট। চিরকালই অ্যাকশন দৃশ্যে নিজেই অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু জানলে অবাক হয়ে যাবেন, অক্ষয় সব থেকে বেশি ভয় পান হেলিকপ্টার থেকে পড়ে যাওয়ার। তার থেকেও বেশি তিনি ভয় পান কাজ থেকে বিরতি নেওয়ার। কাজ ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে চান না তিনি। মৃত্যু ছাড়া আর কোনও পরিস্থিতিতেই বিশ্রাম করতে নারাজ এই অভিনেতা।