‘নয়ন তোমায় পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে’, ৩৪তম বিবাহবার্ষিকীর দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্ট অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তীর। প্রয়াত স্ত্রী তথা প্রখ্যাত অভিনেত্রী সোনালি চক্রবর্তীর সঙ্গে এ দিন একটি পুরনো ছবি ফেসবুকের পাতায় শেয়ার করেছেন অভিনেতা। দেড় বছর আগেই মারা গিয়েছেন সোনালি দেবী। স্ত্রীর স্মৃতি আগলে বিশেষ দিনে এই ছবি পোস্ট করেছেন শঙ্কর চক্রবর্তী।
১২ মার্চ, আজ ৩৪তম বিবাহবার্ষিকী শঙ্কর এবং সোনালির। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় সোনালির সঙ্গে পুরনো ছবি পোস্ট করে অভিনেতা লিখেছেন, ‘নয়ন তোমায় পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে… আজ আমাদের ৩৪তম বিবাহবার্ষিকী, যেখানে আছো খুব ভালো থেকো আবার দেখা হবে’। পোস্টে ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেন এবং ভক্তরা। আরও পড়ুন: প্রয়াত 'দ্য হিরো: লাভ স্টোরি অফ এ স্পাই' খ্যাত প্রযোজক ধীরজ লাল শাহ, কী হয়েছিল

২০২২ সালের অক্টোবর মাসে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন অভিনেত্রী সোনালি চক্রবর্তী। দীর্ঘ দিন ধরে লিভারের জটিলতায় ভুগছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল লিভার ক্যানসার হয়েছিল সোনালির। ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। মৃত্যুর সময়ে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দায়ও এক সময়ে চুটিয়ে কাজ করেছিলেন অভিনেত্রী। নব্বইয়ের দশকের একাধিক বাংলা ছবিতে অভিনয় করার পরও ২০০২ সালে ‘হার জিৎ’, ২০০৮ সালে ‘বন্ধন’-এর মতো বেশ কিছু হিট ছবিতে দেখা গিয়েছিল সোনালিকে।
কঠিন সময় সোনালিকে পাশে পেয়েছিলেন শঙ্কর। গান শিখিয়ে যা উপার্জন করতেন, সবটাই তুলে দিতেন তিনি শঙ্করের হাতে। স্বাভাবিকভাবে পরিবার মেনে নেয়নি তাঁদের সম্পর্ক। আর তাতে বাড়ির বিরুদ্ধে গিয়ে শঙ্করকে বিয়ে করেছিলেন সোনালি। স্ত্রী মারা যাওয়া অবধি দুজনের ছিল সুখের সংসার।
সোনালির মৃত্যুর পর এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্ত্রীর স্মৃতিতে শঙ্কর জানিয়েছিলেন, একা বাড়িতে থাকতে এখন তাঁর অসুবিধা হয়। কাজ সেরে তিনি যখন বাড়িতে ঢোকেন, তখন গ্রাস করে নিঃসঙ্গতা। তাঁদের মেয়ে কলকাতায় থাকেন না, থাকেন মুম্বইতে। অভিনেতা জানান, তিনি সারাদিন কাজ করেন, স্টুডিওপাড়াতেই সময় কাটে। কিন্তু বাড়িতে ফিরলেই শুরু হয় মানসিক অশান্তি। জানিয়েছিলেন, ‘সারাদিন কাজের শেষে রাতে যখন বাড়িতে ঢুকি, তখন ঘরটা ফাঁকা, অস্বস্তি হয়, এখন বাড়িটা গিলতে আসে। ঠিক কেমন লাগে বলে বোঝাতে পারব না।’