বছরের শুরুতেই বড় পর্দায় পা রাখতে চলেছেন জুনায়েদ খান। 'মহারাজ'-এর হাত ধরে গত বছর বি-টাউনে পা রাখেন আমির-পুত্র। কিন্তু জানলে অবাক হবে এই জুনায়েদ ছোট বেলায় ডিসলেক্সিয়ায় ভুগেছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ডিসলেক্সিয়ার সঙ্গে তাঁর লড়াইয়ের কথা ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেতা।
‘তারে জমিন পার’-এর ইশানের মতো ডিসলেক্সিয়া ছিল ছেলের! স্ক্রিপ্ট শুনে যা করেছিলেন আমির
বছরের শুরুতেই বড় পর্দায় পা রাখতে চলেছেন জুনায়েদ খান। 'মহারাজ'-এর হাত ধরে গত বছর বি-টাউনে পা রাখেন আমির-পুত্র। তাঁর সাবলীল অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন সিনে-প্রেমিরা। কিন্তু জানলে অবাক হবে এই জুনায়েদ ছোট বেলায় 'তারে জমিন পার'-এর 'ইশান অবস্তি'র মতো ডিসলেক্সিয়ায় ভুগেছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ডিসলেক্সিয়ার সঙ্গে তাঁর লড়াইয়ের কথা ভাগ করে নিয়েছেন জুনায়েদ।
ভিকি লালওয়ানিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জুনায়েদ জানান, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর। সেই সময় তাঁর বাবা-মা আমির খান এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী রীনা দত্ত যখন 'তারে জমিন পার'- এর স্ক্রিপ্ট শোনেন, তখন প্রথম বুঝতে পারেন যে, এই একই সমস্যা রয়েছে তাঁদের ছেলেও। তবে জুনায়েদ পাশাপাশি এও জানান যে, এটা জানার পর থেকেই তাঁর বাবা- মা, তাঁকে নানা ভাবে সাহায্য করেছিলেন। পাশাপাশি সেই সময় তাঁর পড়াশোনার বিষয়েও তাঁকে খুব একটা জোর দিতেন না। যতটা স্বাভাবিক ছন্দে সম্ভব ততটাই তিনি করতেন।
সাক্ষাৎকারে জুনায়দের থেকে জানতে চাওয়া হয় যে, তাঁর বাবা-মা তাঁর পড়াশোনার বিষয়ে কঠোর ছিল কিনা। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জুনায়েদ জানান যে ছোটাবেলায় তাঁর ডিসলেক্সিয়া ধরা পড়েছিল, তাই তাঁর বাবা মা পড়াশোনা নিয়ে খুব একটা জোর দিতেন না।
তা শুনেই ভিকি জানতে চান, তাঁর মানসিক অবস্থা আমিরের 'তারে জমিন পার' করার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছে কিনা? এই প্রসঙ্গে জুনায়েদ জানান, একেবারে উল্টোটা। তাঁর কথায় ‘আসলে, আমি মনে করি এটার একেবারে উল্টো ছিল বিষয়টা। যখন ওঁরা 'তারে জমিন পার'- এর স্ক্রিপ্ট শুনেছিলেন, তখন তাঁরা আমার সঙ্গে বেশ কিছু মিল খুঁজে পেয়েছিলেন। তারপরই তাঁরা আমাকে একজন বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান। আর সেখানে গিয়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আমার ডিসলেক্সিয়া ধরা পড়েছিল।'
জুনায়েদ মতে, অল্প বয়সে তাঁর ডিসলেক্সিয়া ধরা পড়ার কারণে তিনি তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পেরেছেন। তবে এক্ষেত্রে তাঁর বাবা-মা তাঁকে সেই সময় যে ভাবে বুঝেছিলেন, তাঁকে সাহায্য করেছিলেন তাঁর জন্য তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন।