নারী দিবসের দিনই শুরু হয়েছে 'ডান্স বাংলা ডান্স' সিজন ১৩। শোয়ের অডিশন রাউন্ড থেকেই সামনে আসছে একের পর এক চমক। চলতি সিজনে বিচারকের আসনে রয়েছেন যিশু সেনগুপ্ত, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, কৌশানি মুখোপাধ্যায় ও অঙ্কুশ হাজরা। আর এবার মহাগুরুর আসনে রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। আর তাঁদের সামনেই গ্র্যান্ড অডিশনে নজর কাড়ছেন একের পর এক প্রতিযোগী।
আর এবার ডান্স বাংলা ডান্সে উত্তর ২৪ পরগনার চাঁদপাড়া থেকে হাজির এক মিষ্টি ‘পরী’ শিঞ্জিনী। বলিউডের 'আজা আয়ি বাহার/দিল হ্যায় বেকারার' গানে নেচে বিচারকদের চমকে দেন ছোট্ট শিঞ্জিনী। শুভশ্রী তাঁকে জিগ্গেস করেন, ‘তোমার কত বছর বয়স?’ উত্তরে খুদে শিল্পী জানায় ৫। শুনে অভিনেত্রী আদুরে গলায় বলেন, ‘ওলে বাবা লে..’। আর মহাগুরু বলেন, ‘এটাই হল ডান্স বাংলা ডান্সের জাদু…’। চ্যানেলের ইনস্টাগ্রামেই উঠে এসেছে এই ভিডিয়ো।
প্রসঙ্গত ছোট্ট শিঞ্জিনীকে যে গানটিতে পারফর্ম করতে দেখা যায় সেটি ১৯৬৪ সালে মুক্তি পাওয়া 'রাজকুমার' ছবির গান, যেটি লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া।
ইতিমধ্যেই ডান্স বাংলা ডান্সের গ্র্যান্ড অডিশনে নেচে মুগ্ধ করেছেন বহু প্রতিযোগী। ব্যারাকপুরের মূক ও বধির শিল্পী পূজা হালদার অডিশন দিতে না দিতেই ভাইরাল। মন কেড়ছেন আরও এক কন্যে সায়ন্তী। যিনি কিনা আবার পেশায় লেডি কনস্টেবল। তবে নাচটাও দারুণ করেন।
ডান্স বাংলা ডান্সের বিচারকদের সামনে সগর্বে সায়ন্তী বলেন, তিনি লেডি কনস্টেবল। বর্তমানে হেয়ার স্ট্রিট থানায় রয়েছেন। কলকাতা পুলিশের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টে চাকরি করছেন। সায়ন্তী জানান, থানার অ্যাডিশনাল ওসি ম্যাডাম, ওসি ম্যাডাম, অন্য সিনিয়রসরা, প্রত্যেকে ভীষণ সাপোর্টিভ, তাই তিনি এই প্রতিযোগিতার অংশ হতে পেরেছেন।
অন্যদিকে আবার ডান্স বাংলা ডান্সের গ্রান্ড অডিশনে হাজির ছিলেন আরও এক খুদে প্রতিযোগী অহনা। যার বয়স মাত্র ৭। উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার বাসিন্দা সে। অহনার মা বিচারকদের জানান, তাঁর নাচ শেখার খুব ইচ্ছে ছিল, তবে পারেননি। তাই মেয়েকে দিয়েই সেই ইচ্ছে পূরণের চেষ্টা করছেন। শোয়ের প্রোমোতে অহনার মাকে মঞ্চে উঠে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে নাচতেও দেখা যায়।