বিরাট কোহলি মানেই স্ট্রাইক রোটেশনের ‘কিং’। একদিনের ক্রিকেটে যে তাঁকে ‘চেজমাস্টার’-র তকমা দেওয়া হয়, সেটার নেপথ্যে স্ট্রাইক রোটেশনের বড় ভূমিকা আছে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যে ৮৪ রান করেছেন বিরাট, তাতে মাত্র পাঁচটি বাউন্ডারি (চার) মারেন। অর্থাৎ বাকি ৬৪ রান দৌড়ে নেন। সেই স্ট্রাইক রোটেশনের জন্যই নিজের উপরে বাড়তি চাপ তৈরি হতে দেন না। তারপর সময় মতো বাউন্ডারি মারেন। সেভাবেই খেলে ভারতকে একের পর এক ম্যাচ জিতিয়েছেন। আর তারইমধ্যে নয়া একটি পরিসংখ্যান সামনে এল। যে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০০ সাল থেকে বিরাটের থেকে বেশি সিঙ্গলস কেউ নেননি। এমনকী সিঙ্গলসে বিরাট যত সিঙ্গলস নিয়েছেন, একদিনের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের হয়ে তার থেকে বেশি রান করেছেন মাত্র দু'জন। অর্থাৎ একদিনের ক্রিকেটে বিরাট সিঙ্গলস নিয়ে যত রান করেছেন, সেটা শুধু বিবেচনা করলে তিনি ইংল্যান্ডের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে যাচ্ছেন। আর পাকিস্তানের নিরিখে বিচার করলে পড়শি দেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় ১২ নম্বরে থাকতেন বিরাট।
ODI-তে সিঙ্গলসের রেকর্ড, শীর্ষে বিরাট!
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সিঙ্গল নিয়েছেন বিরাট। তাঁর সিঙ্গলসের সংখ্যা প্রায় ৫,৯০০। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন তারকা কুমার সাঙ্গাকারা (৫,৬৮৮)। তিন নম্বরে আছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক মাহেলা জয়বর্ধনে (৫,০৪৬)। তারপর ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি (৪,৪৭৪) আছেন। পাঁচ নম্বরে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন তারকা জ্যাক কালিস (৪,০৫৭)।
ODI-তে বিরাটের ধারেকাছেও নেই ইংরেজ ক্রিকেটাররা!
আর একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রানের তালিকার শীর্ষে আছেন ইয়ন মর্গ্যান। তিনি ৬,৯৫৭ রান করেছেন। দুইয়ে আছেন জো রুট। তিনি ৬,৮৫৯ রান করেছেন। আর তৃতীয় স্থানে আছেন ইয়ান বেল। তিনি মোট ৫,৪১৬ রান করেছেন। যা বিরাটের কেরিয়ারে নেওয়া সিঙ্গলসের থেকেও কম। আর সবমিলিয়ে ধরলে তো বিরাটের ধারেকাছেও নেই কোনও ইংরেজ ব্যাটার। একদিনের ক্রিকেটে মোট ১৪,১৮০ রান করেছেন বিরাট।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হতে পারেন?
আর ১৪,০০০ রানের গণ্ডিটা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই ছুঁয়েছেন বিরাট। আপাতত ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন। চারটি ম্যাচে ২১৭ রান করেছেন। শীর্ষস্থানে আছেন বেন ডাকেট। তাঁর মোট রান হল ২২৭। আর সেটার মধ্যে ১৬৫ রানই একটা ইনিংসে এসেছে।
সেখানে বিরাট পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১০০ রান করেছেন। আর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৪ রান করেছেন। দুটি ম্যাচেই সেরা নির্বাচিত হয়েছেন। সেই পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার সুযোগ পাবেন বিরাট। আগামী ৯ মার্চ (রবিবার) নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে সেই নজির গড়ার সুযোগ পাবেন। তবে লড়াই হবে কিউয়ি তারকা রাচিন রবীন্দ্রের সঙ্গে। যিনি ২২৬ রান করেছেন।