প্রথম কোয়ালিফায়ারে পঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে সরাসরি আইপিএল ২০২৫-এর ফাইনালে জায়গা করে নিল আরসিবি। দীর্ঘ ৯ বছর পরে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের খেতাবি লড়াইয়ের যোগ্যতা অর্জন করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এই নিয়ে মোট চারবার আইপিএলের ফাইনালে উঠল আরসিবি। আগের তিনবার রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিরাট কোহলিদের। এবছর শেষমেশ আইপিএলের ট্রফি বেঙ্গালুরুতে যায় কিনা, সেটাই হবে দেখার।
বৃহস্পতিবার মুল্লানপুরে আইপিএল ২০২৫-এর প্রথম কোয়ালিফায়ারে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পঞ্জাব কিংস। তারা ইনিংসের শুরু থেকে নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকে। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারেই ৪টি উইকেট হারিয়ে বসে পঞ্জাব। শেষমেষ ১৪.১ ওভারে মাত্র ১০১ রানে অল-আউট হয়ে যায় তারা।
পঞ্জাবের হয়ে সব থেকে বেশি ২৬ রান করেন মার্কাস স্টইনিস। ১৮ রান করেন প্রভসিমরন সিং। ১৮ রানের যোগদান রাখেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার মাত্র ২ রান করে আউট হন।
আরসিবির হয়ে ২১ রানে ৩টি উইকেট দখল করেন জোশ হেজেলউড। সুয়াশ শর্মা ১৭ রান খরচ করে ৩টি উইকেট সংগ্রহ করেন। ২৬ রানে ২টি উইকেট নেন যশ দয়াল। ১টি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার ও রোমারিও শেফার্ড।
পালটা ব্যাট করতে নেমে আরসিবি ১০ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১০৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৬০ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে বেঙ্গালুরু। আরসিবির হয়ে অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরি করেন ফিল সল্ট। তিনি ২৭ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারেন ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা।
বিরাট কোহলি ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২ বলে ১২ রান করে আউট হন। ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৩ বলে ১৯ রান করেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ক্যাপ্টেন রজত পতিদার ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৮ বলে ১৫ রান করে নট-আউট থাকেন। পঞ্জাবের হয়ে ১টি করে উইকেট দখল করেন কাইল জেমিসন ও মুশির খান।
উল্লেখ্য, আরসিবি এর আগে ২০০৯, ২০১১ ও ২০১৬ সালে আইপিএলের ফাইনালে ওঠে। বৃহস্পতিবার আরসিবির কাছে হারলেও পঞ্জাব কিংস এখনই ছিটকে যাচ্ছে না টুর্নামেন্ট থেকে। কেননা তারা এলিমিনেটরের বিজয়ী দলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মাঠে নামার সুযোগ পাবে। প্রথম কোয়ালিফায়ারের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন সুয়াশ শর্মা।